রবিবারের বাজারে সবজির দামের হালচাল

west-bengal-vegetable-price-hike-november-2025

কলকাতা, ২ নভেম্বর: উৎসবের মরসুম পেরিয়ে গেলেও বাজারদর এখনও গৃহস্থের মাথাব্যথার কারণ। রবিবার সকালে শহর ও জেলা জুড়ে সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেল, প্রায় সবজিতেই দাম বাড়তি। টানা বৃষ্টি, পরিবহন খরচের বৃদ্ধি এবং সরবরাহে ঘাটতির কারণে পাইকারি ও খুচরো দুই পর্যায়েই দাম বেড়েছে এক লাফে।

Advertisements

সবচেয়ে বেশি আঘাত এসেছে পেঁয়াজ ও টমেটোতে। বড় পেঁয়াজের দাম এখন ₹২৩ থেকে ₹২৯ প্রতি কেজি, ছোট পেঁয়াজ ₹৪৭ থেকে ₹৬০, আর টমেটো ₹২২ থেকে ₹২৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সবজি বিক্রেতারা বলছেন, “বৃষ্টি আর ট্রান্সপোর্টের সমস্যা মিটলেই দাম কিছুটা নামতে পারে, কিন্তু আপাতত আশা কম।” ঝালপ্রেমীদের জন্যও খারাপ খবর কাঁচালঙ্কার দাম এখন ₹৪৬ থেকে ₹৫৮ টাকা প্রতি কেজি। অন্যদিকে, বিটরুটের দাম ₹৩৪ থেকে ₹৪৩, আর আলু ₹২৮ থেকে ₹৩৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

   

আইলিগের সেলিব্রেশনে মাতলেন লাল-হলুদের এই ফুটবলার

রবিবারের বাজারে কলাপাতা, ধনে পাতা, পাট শাকের মতো পাতাযুক্ত সবজিগুলির দামও সাধারণ ক্রেতার নাগালের বাইরে যাচ্ছে। কাঁচা কলার দাম প্রতি কেজি ₹৯ থেকে ₹১১, ধনে পাতা ₹১৫ থেকে ₹১৯, আর পাটশাক বা লাল শাকের মতো শাকজাতীয় দ্রব্যের দাম ₹১২ থেকে ₹১৮ টাকার মধ্যে ঘোরাফেরা করছে।

সবজির তালিকায় চোখ বুলিয়ে দেখা যায়, প্রায় সব কিছুরই দর আগের সপ্তাহের তুলনায় অন্তত ১০-১৫ শতাংশ বেশি। উদাহরণস্বরূপ, ঢ্যাঁড়শ বা ভেন্ডি প্রতি কেজি ₹৩৭ থেকে ₹৪৭, করলা ₹৩৭ থেকে ₹৪৭, ঝিঙে ₹৩৩ থেকে ₹৪২, আর ফুলকপি ₹৩২ থেকে ₹৪১ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ক্যাপসিকামের দাম আরও চড়া ₹৪২ থেকে ₹৫৩ টাকা পর্যন্ত।

Advertisements

বাজারের ব্যবসায়ীদের মতে, বৃষ্টি এবং পরিবহন খরচের পাশাপাশি হিমঘরে মজুত ফুরিয়ে যাওয়াও এই মূল্যবৃদ্ধির অন্যতম কারণ। “বর্ষার শেষে সবসময়ই কিছুটা দাম ওঠানামা হয়, কিন্তু এবারের মতো এতটা নয়,” জানান সোদপুর বাজারের এক সবজি বিক্রেতা।

অন্যদিকে, গ্রাহকদের অভিযোগ সরকারি নজরদারির অভাবে ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন নিজের মতো করে। কলকাতা ও আশপাশের এলাকায় রবিবার সকালে সবজি কেনাকাটা করতে গিয়ে বহু ক্রেতাই বলেন, “একটা পরিবারের সাপ্তাহিক সবজি কেনা এখন প্রায় বিলাসিতা হয়ে দাঁড়িয়েছে।”

আইএমডি জানিয়েছে, আগামী সপ্তাহে রাজ্যে বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা কমবে। ফলে, সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নতি হলে দাম ধীরে ধীরে স্থিতিশীল হতে পারে বলে আশাবাদী কৃষি বিপণন দপ্তর। তবে আপাতত, মধ্যবিত্তের ঝুড়িতে আবারও আগুন সবজির বাজারে নিঃশ্বাস ফেলাও যেন এখন কঠিন।