দীপাবলির আগেই শহরজুড়ে শুরু হয়েছে উৎসবের প্রস্তুতি। আলো, মিষ্টি, মণ্ডপ সাজানোর সঙ্গে সঙ্গে এবারও কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে গ্রিন ক্র্যাকার বা সবুজ বাজি। কিন্তু গত কয়েক বছরে যেমন কালীপুজো ও দীপাবলিতে শব্দবাজি ও দূষণ বেড়ে যাওয়ায় অনেক এলাকায় সমস্যা দেখা দিয়েছে, এবারও সেই কারণে পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ (WB Pollution Control Board) কঠোর নজরদারি শুরু করেছে।
পর্ষদ জানিয়েছে, দীপাবলির দিন শুধু অনুমোদিত সময়েই গ্রিন ক্র্যাকার ফাটানো যাবে। নির্ধারিত সময় হলো সন্ধে ৮টা থেকে রাত ১০টা। এই সময়ের বাইরে বাজি ফাটানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এছাড়া, বাজারে পাওয়া সবুজ বাজির বাক্সে অবশ্যই কিউআর কোড থাকবে। ক্রেতারা সেই কোড স্ক্যান করে যাচাই করতে পারবেন যে বাজি অনুমোদিত কিনা।
দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ ১৯ অক্টোবর থেকে ২১ অক্টোবর পর্যন্ত বিশেষ কন্ট্রোল রুম চালু করেছে। যে কেউ বাজি সংক্রান্ত অভিযোগ জানাতে চাইলে সরাসরি ফোন করতে পারবেন কন্ট্রোল রুমে (০৩৩) ২২০২ ৩০৫৭ বা টোল ফ্রি নম্বর ১৮০০ ৩৪৫ ৩৩৯০-এ।
পর্ষদ জানিয়েছে, অনুমোদিত গ্রিন ক্র্যাকার ব্যবহার করলে বায়ুদূষণ ও শব্দদূষণ অনেকাংশে কমানো সম্ভব। শহরের বিভিন্ন এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে নজরদারি চালানো হবে। যেসব দোকান অনুমোদিত নয় এমন বাজি বিক্রি করবে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সাধারণ মানুষকেও সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অনুমোদিত সময়ের বাইরে বাজি ফাটালে বা অনুমোদিত নয় এমন বাজি ব্যবহারে কড়া শাস্তির মুখে পড়তে হবে।
এছাড়া, বিশেষভাবে শিশুদের কাছে বাজি রাখা যাবে না। প্রাপ্তবয়স্কদের তত্ত্বাবধানে বাজি ফাটানো বাধ্যতামূলক। ক্রেতাদের উচিত কিউআর কোড যাচাই করা এবং শুধুমাত্র অনুমোদিত গ্রিন ক্র্যাকার ব্যবহার করা।
শহরের রাস্তাঘাট ইতিমধ্যেই আলোর মরশুমে সেজে উঠেছে। প্রতিটি মণ্ডপে দীপাবলির সাজ চলছে, মানুষ উৎসব উদযাপনে ব্যস্ত। তবে নিরাপত্তা ও পরিবেশের দিকে নজর রাখাই এখন প্রধান দায়িত্ব।