কলকাতা: শীতের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে রাজ্য। আবহাওয়ায় হালকা ঠান্ডা পড়তেই রাজ্যের বাজারে নেমেছে সবজির ঝুড়িতে কিছুটা স্বস্তি। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে যেভাবে দাম বাড়ছিল, এবার সেই দামে খানিকটা ছাড় দেখা যাচ্ছে। পাইকারি থেকে খুচরো দুই বাজারেই বেশ কিছু সবজির দাম কমেছে। তবে রসুন, আদার মতো কিছু জিনিস এখনও দামি অবস্থানেই রয়েছে।
আজকের বাজারে দেখা গেছে, বড় পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি ₹২৬ থেকে ₹৪৩ এবং ছোট পেঁয়াজ ₹৪৮ থেকে ₹৭৯ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। টমেটো এখন ₹২৫ থেকে ₹৪১ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে, যা কয়েকদিন আগেও ছিল প্রায় ১০-১২ টাকা বেশি। কাঁচা লঙ্কা ₹৪৮ থেকে ₹৭৯, বিটরুট ₹৩৫ থেকে ₹৫৮, আর আলু ₹২৫ থেকে ₹৪১ টাকায় বিক্রি হচ্ছে যা গৃহিণীদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে।
গুজরাট সফরে ওড়িশার রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী প্যাটেলের সঙ্গে বৈঠক সম্পন্ন
শীতকাল মানেই বাজারে নানা রঙের সবজির আগমন। ফুলকপি ও বাঁধাকপি-র দামও এখন কমেছে — ফুলকপি কেজি প্রতি ₹৩২ থেকে ₹৫৩, আর বাঁধাকপি ₹৩০ থেকে ₹৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গাজর ₹৪২ থেকে ₹৬৯ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে, যা গত সপ্তাহের তুলনায় প্রায় ১৫% কম।
সবুজ শাকসবজির মধ্যে লালশাক (Amaranth Leaves) কেজি প্রতি ₹১২ থেকে ₹২০, ধনেপাতা ₹১২ থেকে ₹২০, এবং মেথি পাতা ₹১০ থেকে ₹১৭ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লাউ, ঝিঙে, করলা, পটল, ঢেঁড়স প্রতিটি সবজির দামে সামান্য হ্রাস লক্ষ্য করা গেছে। লাউ ₹৩৬ থেকে ₹৫৯, করলা ₹৩৭ থেকে ₹৬১, ঢেঁড়স ₹৪৫ থেকে ₹৭৪, এবং ব্রিঞ্জাল ₹৩১ থেকে ₹৬৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তবে রসুন ও আদার দাম এখনও বাজারে উঁচু অবস্থানে। রসুন ₹১০২ থেকে ₹১৬৮, আর আদা ₹৭৯ থেকে ₹১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা বলছেন, “উত্তর ভারতের কিছু অংশে অতিরিক্ত বৃষ্টি ও পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধির কারণে রসুন-আদার দাম কমছে না।”
অন্যদিকে, শীতের জনপ্রিয় সবজি বেবি কর্ন ₹৪৮ থেকে ₹৭৯, সবুজ মটরশুঁটি ₹৪৮ থেকে ₹৭৯, এবং ক্যাপসিকাম ₹৪১ থেকে ₹৬৮ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়াও বাঁধাকপি, ফুলকপি, গাজর, বিটরুট, পালং শাক এই সবজিগুলির দাম আরও কিছুদিনের মধ্যে আরও কমতে পারে বলে আশা করছেন ব্যবসায়ীরা। বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, “পরবর্তী এক সপ্তাহে সরবরাহ আরও বাড়লে এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সবজির দাম আরও ১০–১৫ শতাংশ কমতে পারে।” ফলে মধ্যবিত্ত ক্রেতাদের জন্য শীতের এই বাজারে কিছুটা স্বস্তি ফিরছে।
