আজকে সবজির বাজারে দামের হালহকিকত

today-vegetable-price-west-bengal-november-2025

কলকাতা: সপ্তাহের প্রথম দিনে রাজ্যের বাজারে সবজির দামে দেখা গেল মিশ্র প্রতিক্রিয়া। একদিকে পেঁয়াজ ও টমেটোর দাম কিছুটা স্থিতিশীল থাকলেও, অন্যদিকে লঙ্কা, ফুলকপি এবং গাজরের দাম এখনও গৃহস্থের পকেটে চাপ তৈরি করছে। পাইকারি ও খুচরো বাজারে সবজির দামের এই ওঠানামা নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েই কিছুটা উদ্বিগ্ন।

Advertisements

আজকের বাজারদরের তালিকা অনুযায়ী, বড় পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজি ₹২৩থেকে ₹২৯ পর্যন্ত ঘোরাফেরা করছে, যেখানে ছোট পেঁয়াজের দাম ₹৪৭থেকে ₹৬০পর্যন্ত উঠেছে। টমেটোর দাম তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল প্রতি কেজি ₹২২ থেকে ₹২৮পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। তবে সবজির ঝাঁজ ধরে রেখেছে কাঁচা লঙ্কা, যার দাম প্রতি কেজি ₹৪৬থেকে ₹৫৮এর মধ্যে।

   

বিটরুট ও আলুর দামও ক্রেতাদের কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে। বিটরুট ₹৩৪ থেকে ₹৪৩এবং আলু ₹২৮ থেকে ₹৩৬টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে কলার দাম ₹৯ থেকে ₹১১ প্রতি কেজি, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় প্রায় অপরিবর্তিত। সবুজ পাতার মধ্যে অমরনাথ লিফ প্রতি কেজি ₹১৪থেকে ₹১৮ধনেপাতা ₹১৫থেকে ₹১৯আর কারি লিফ ₹৩০থেকে ₹৩৮টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এগুলোর দাম উৎসব-পরবর্তী সময়েও বেশ স্থিতিশীল রয়েছে।

তবে আশ্চর্যজনকভাবে আশ গার্ড বা কুমড়োর দামও কিছুটা বেড়েছে ₹২৪ থেকে ₹৩০ প্রতি কেজি। বেবি কর্ন এবং ক্যাপসিকামের দাম যথাক্রমে ₹৪৯থেকে ₹৬২ এবং ₹৪২ থেকে ₹৫৩টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ফুলকপি ও বাঁধাকপির দামে হালকা উর্ধ্বগতি দেখা গেছে। ফুলকপি প্রতি কেজি ₹৩২থেকে ₹৪১ এবং বাঁধাকপি ₹২৯থেকে ₹৩৭ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শীতের আগমনে এই সবজিগুলির চাহিদা বেড়েছে বলে জানিয়েছে বাজারের ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে, ঢ্যাঁড়স ও ঝিঙের মতো গ্রীষ্মকালীন সবজির সরবরাহ এখনো কিছুটা সীমিত থাকায় দাম তুলনামূলক বেশি ঢ্যাঁড়স ₹৩৭৪৩ থেকে ₹৪৭৪৪ এবং লাউ ₹৩৩৩৮ থেকে ₹৪২৪০ প্রতি কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

Advertisements

বেগুনের বাজারেও ওঠানামা অব্যাহত। ছোট বেগুন ₹৩৯ থেকে ₹৫০এবং বড় বেগুন ₹৩৬ থেকে ₹৪৬ প্রতি কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এই দাম বৃদ্ধির পেছনে মূল কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা পরিবহন খরচ ও পাইকারি সরবরাহের ঘাটতিকে দায়ী করছেন।

সবমিলিয়ে দেখা যাচ্ছে, নভেম্বরের শুরুতেই বাজারে দাম কিছুটা স্থিতিশীল হলেও বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সবজির দামে এখনো আগুন। বিশেষত লঙ্কা, বেবি কর্ন ও ক্যাপসিকামের দাম এখনো মধ্যবিত্তের পকেটে চাপ ফেলছে।

তবে ভারতীয় আবহাওয়া দফতরের মতে, আগামী সপ্তাহে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবং সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হলে বাজারে দামের কিছুটা পতন ঘটতে পারে। ফলে আশা করা হচ্ছে, দীপাবলির পরবর্তী এই সময়ে ক্রেতারা ধীরে ধীরে স্বস্তি ফিরে পাবেন।