কলকাতা: দীপাবলি ও ভাইফোঁটা উৎসবের পরদিনই শহর কলকাতাসহ গোটা রাজ্যের বাজারে সবজির দাম যেন ফের আগুন ছুঁয়েছে। অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে প্রবল চাহিদা, পরিবহন খরচ বৃদ্ধি এবং হালকা অনিয়মিত বৃষ্টির কারণে কলকাতার পাইকারি ও খুচরো বাজারে একাধিক সবজির দর বেড়েছে। ফলে গৃহস্থের রান্নাঘরে চিন্তার ভাঁজ আরও ঘন হচ্ছে।
আজ, শুক্রবার বড় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ₹২৫ থেকে ₹৩২ কুইন্টালপ্রতি, মানভেদে খুচরো বাজারে এর গড় দাম দাঁড়াচ্ছে প্রায় ₹৪১ প্রতি কিলো। ছোট পেঁয়াজের দাম আরও বেশি ₹৪৯ থেকে ₹৬২ প্রতি কুইন্টাল, যা খুচরো বাজারে ₹৮১ প্রতি কিলো পর্যন্ত উঠেছে।
বিধানসভাকে পাখির চোখ করে ‘শিল্পের সমাধান’ প্রকল্প শুরু রাজ্যের
টমেটোও ফের দাম বাড়িয়েছে বাজারে। পাইকারি দরে ₹২০ থেকে ₹২৫প্রতি কুইন্টাল, অর্থাৎ ₹৩৩ প্রতি কিলো। অন্যদিকে কাঁচালঙ্কা আবারও উর্ধ্বমুখী, প্রতি কুইন্টালে ₹৪৮ থেকে ₹৬১, খুচরো দরে প্রায় ₹৭৯ প্রতি কিলো।
বাজারের অন্যান্য সবজির ক্ষেত্রেও একই চিত্র দেখা যাচ্ছে। বীটরুট বিক্রি হচ্ছে ₹৩১ থেকে ₹৩৯প্রতি কুইন্টাল, অর্থাৎ ₹৫১ প্রতি কিলো। আলুর দাম ₹২৪ থেকে ₹৩০ (₹৪০ প্রতি কিলো)। কাঁচা কলা ₹১২ থেকে ₹১৫ (₹২০ প্রতি কিলো) দরে পাওয়া যাচ্ছে। লালশাকের দাম ₹১৫ থেকে ₹১৯ (₹২৫ প্রতি কিলো)। আমলকির দাম চড়েছে ₹৭৫ থেকে ₹৯৫ (₹১২৪ প্রতি কিলো)। চালকুমড়ো বিক্রি হচ্ছে ₹২০ থেকে ₹২৫ (₹৩৩ প্রতি কিলো) দরে।
বেবি কর্ন ₹৫০ থেকে ₹৬৪ (₹৮৩ প্রতি কিলো), মোচা ₹১৬ থেকে ₹২০(₹২৬ প্রতি কিলো), ক্যাপসিকাম ₹৪১থেকে ₹৫২(₹৬৮ প্রতি কিলো), করলা ₹৩৯ থেকে ₹৫০(₹৬৪ প্রতি কিলো), লাউ ₹২৮থেকে ₹৩৬ (₹৪৬ প্রতি কিলো), বাটার বিনস ₹৫০ থেকে ₹৬৪ (₹৮৩ প্রতি কিলো), বড়শিম ₹৩৭থেকে ₹৪৭(₹৬১ প্রতি কিলো), বাঁধাকপি ₹২৭ থেকে ₹৩৪ (₹৪৫ প্রতি কিলো), গাজর ₹৪০থেকে ₹৫১ (₹৬৬ প্রতি কিলো), ফুলকপি ₹৩১ থেকে ₹৩৯(₹৫১ প্রতি কিলো)।
এছাড়া বরবটি (Cluster Beans) ₹৪২ থেকে ₹৫৩ (₹৬৯ প্রতি কিলো), নারকেল ₹৬৫ থেকে ₹৮৩ কচুশাক ₹১২থেকে ₹১৫ (₹২০ প্রতি কিলো), কচু ₹২৫ থেকে ₹৩২ (₹৪১ প্রতি কিলো), ধনেপাতা ₹১১থেকে ₹১৪, ভুট্টা ₹৩১ থেকে ₹৩৯(₹৫১ প্রতি কিলো) দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে বিক্রেতাদের মতে, উৎসব পরবর্তী সময়ে ডিমান্ড ও সরবরাহের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ায় সবজির দাম সাময়িকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের কিছু অংশে বৃষ্টিপাত ও পরিবহন ব্যাহত হওয়ায় সরবরাহে ঘাটতি তৈরি হয়েছে। তবে ব্যবসায়ীদের আশা, নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে দাম কিছুটা স্বাভাবিক হতে পারে, যখন নতুন ফসল বাজারে আসবে।
এই পরিস্থিতিতে শহুরে মধ্যবিত্ত পরিবারগুলির মধ্যে চিন্তা বাড়ছে। একদিকে বিদ্যুৎ ও দুধের দাম বৃদ্ধি, অন্যদিকে সবজির এই চড়া দর — উৎসবের পরেও যেন স্বস্তি নেই


