আজ সবজির বাজার দরে কি হালচাল জানুন

today-vegetable-price-bengal

কলকাতা: উৎসবের পর দিন শুরু হয়েছে নতুন সপ্তাহের সবজির বাজার নিয়ে ব্যস্ততা। দীপাবলির পর মঙ্গলবার সকালে কলকাতার বাজার ঘুরে দেখা গেল, অনেক সবজির দাম আগের তুলনায় কিছুটা কমলেও বেশ কয়েকটি জিনিস এখনও সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েই বলছেন, পরিবহণ খরচ, পাইকারি বাজারের সরবরাহ ও আবহাওয়ার প্রভাব সব মিলিয়ে দাম ওঠানামা করছে প্রায় প্রতিদিনই।

Advertisements

আজকের বাজার দর অনুযায়ী, বড় পেঁয়াজ (Onion Big) বিক্রি হচ্ছে ₹২৩ থেকে ₹২৯ প্রতি কেজি দরে, আর ছোট পেঁয়াজের (Onion Small) দাম ₹৫০ থেকে ₹৬৪ প্রতি কেজি। টমেটোর দাম কিছুটা স্থিতিশীল, বর্তমানে ₹২২ থেকে ₹৩৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সবুজ লঙ্কার ঝাঁজ এখন একটু বেশি দামে ₹৪৬ থেকে ₹৭৬ প্রতি কেজি পর্যন্ত।

বিটরুটের দাম ₹৩৩ থেকে ₹৫৪ টাকার মধ্যে ঘোরাফেরা করছে, আলুর বাজার এখনও স্থিতিশীল ₹২৪ থেকে ₹৪০ টাকায়। কাঁচা কলা (Raw Banana) পাওয়া যাচ্ছে ₹১২ থেকে ₹২০ প্রতি কেজি দরে, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা কম। পাটশাক বা অমরনাথ শাকের দামও সামান্য কমেছে ₹১৩ থেকে ₹২১ প্রতি কেজি।

অমলা বা আমলকির দাম কিন্তু সাধারণের নাগালের বাইরে, ₹৮৫ থেকে ₹১৪০ প্রতি কেজি পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। অন্যদিকে, chalkumro বা ash gourd ₹১৭ থেকে ₹২৮ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। শিশুদের প্রিয় বেবি কর্নের দামও এখন ₹৫১ থেকে ₹৮৪ প্রতি কেজি।

সবচেয়ে বেশি দর উঠেছে ক্যাপসিকাম ও করলার ক্ষেত্রে ক্যাপসিকাম বিক্রি হচ্ছে ₹৪৫ থেকে ₹৭৪, আর করলা ₹৩৩ থেকে ₹৫৪ প্রতি কেজি। বোতল লাউয়ের দাম ₹৩৬ থেকে ₹৫৯, বাটার বিনস ₹৪৭ থেকে ₹৭৮, আর ব্রড বিনস ₹৪১ থেকে ₹৬৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

Advertisements

পাতাকপি ও ফুলকপির দামও নজরে রাখার মতো পাতাকপি ₹২৫ থেকে ₹৪১, আর ফুলকপি ₹৩১ থেকে ₹৫১ প্রতি কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গাজর ₹৪১ থেকে ₹৬৮, যা শীতের আগে দামের আগাম ইঙ্গিত দিচ্ছে। পাইকারি ব্যবসায়ীদের মতে, উত্তর ভারতের সরবরাহ সামান্য কম হওয়ায় দামে এমন অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে। কলকাতার কিছু বাজারে যেমন কাঁকুড়গাছি, গড়িয়াহাট, ও শ্যামবাজারে দামের ব্যবধান ৫-৭ টাকা পর্যন্ত।

অন্যদিকে, হাওড়া ও বালিগঞ্জের হাটে ক্রেতার ভিড় তুলনামূলক বেশি হলেও বিক্রেতারা বলছেন, সরবরাহ কিছুটা স্থিতিশীল হলে দাম ফের কমবে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবং পরিবহন ব্যাহত না হলে আগামী সপ্তাহে আলু, পেঁয়াজ ও টমেটোর দাম আরও কিছুটা কমার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান পাইকারি ব্যবসায়ীরা।

অর্থাৎ, উৎসব পরবর্তী সময়ে এখনই বাজারে যাওয়ার আগে দাম জেনে নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ। কারণ একেকটি সবজির দাম প্রতিদিনই পাল্টে যাচ্ছে, এবং সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের বাজেটে তার সরাসরি প্রভাব পড়ছে।