তৃণমূলের অন্দরে সমীকরণ বদলের ইঙ্গিত? পার্থের ‘গৃহে’ শোভনের উত্থান ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে

tmc-dynamics-shift-sovan-chatterjee-posters-take-over-behala-paschim

কলকাতা, ২১ অক্টোবর: তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে কি নতুন করে পাল্টাচ্ছে ক্ষমতার সমীকরণ? রাজ্য রাজনীতিতে ফের একবার শিরোনামে উঠে এসেছেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় (Shovon Chatterjee) । এক সময় দলে কার্যত ব্রাত্য হয়ে যাওয়া শোভন এখন আবার আলোচনার কেন্দ্রে। বিশেষ করে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাম্প্রতিক দার্জিলিং সফরে একান্তে বৈঠকের পর তাঁর ‘পুনরুত্থান’ যেন নিশ্চিত হয়ে উঠেছে।

Advertisements

দার্জিলিঙে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ বৈঠকের কিছুদিন পরেই রাজ্য সরকার তাঁকে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক পদে নিযুক্ত করে—নিউটাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (NKDA)-র চেয়ারম্যান হিসেবে। এই পদ নিঃসন্দেহে প্রতীকীভাবে রাজনৈতিক পুনর্বাসনের বার্তা বহন করে। তবে এখানেই শেষ নয়। যেটা রাজ্য রাজনীতির পটভূমিকে আরও সরগরম করে তুলেছে, তা হল শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সমর্থনে নতুন করে প্রকাশ্যে আসা পোস্টার—সেটিও আবার প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নিজের বিধানসভা কেন্দ্র, বেহালা পশ্চিমে।

এই পোস্টার ঘিরেই এখন তুঙ্গে জল্পনা। ‘দলের পুরনো সৈনিক ফিরুক ময়দানে’, ‘শোভনদার হাত ধরেই উন্নয়ন ফিরবে বেহালায়’—এমন নানা বার্তা সহ পোস্টারগুলি রীতিমতো পরিকল্পিত এবং দৃশ্যত দলের একাংশের সমর্থনপুষ্ট। প্রশ্ন উঠছে—এই বার্তাই কি শুধু তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের উদ্দেশ্যে, না কি দলের শীর্ষ নেতৃত্বের মনোভাবেরও প্রতিফলন?

Advertisements

বেহালা পশ্চিমে একসময় তৃণমূলের অন্যতম প্রধান মুখ ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। দীর্ঘদিন মন্ত্রীত্ব এবং সাংগঠনিক দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। কিন্তু শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে তাঁর নাম জড়ানো এবং গ্রেফতারির পর দলের অন্দরে তাঁর গুরুত্ব কার্যত শূন্যে নেমে আসে। যদিও এখনও তিনি বিধায়ক, তবে তৃণমূলের নিত্য-রাজনীতিতে তিনি আর গুরুত্বপূর্ণ নন।

এই শূন্যস্থানই হয়তো বেহালা পশ্চিমে নতুন মুখকে প্রতিষ্ঠার সুযোগ করে দিচ্ছে। আর সেই নতুন মুখ হিসেবে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের নাম উঠে আসা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। একসময় দক্ষিণ কলকাতার রাজনীতিতে শোভন ছিলেন অপ্রতিদ্বন্দ্বী। তবে ব্যক্তিগত জীবনের টানাপোড়েন এবং বিজেপিতে যোগদান করে ফের সরে আসা—এই সব কিছুর পর তিনি একপ্রকার কোণঠাসা ছিলেন।