Tuesday, October 14, 2025
HomeWest BengalKolkata CityTET: বেআইনি হলেই পরীক্ষা বন্ধের হুঁশিয়ারি ক্ষুব্ধ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

TET: বেআইনি হলেই পরীক্ষা বন্ধের হুঁশিয়ারি ক্ষুব্ধ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

টেট(TET) পাশ নিয়োগের ক্ষেত্রে ক্রমাগত জটিলতা দেখা দিতে শুরু করেছে। ৮২ নম্বর পাওয়া ২০১৭-র টেট প্রার্থীরা উত্তীর্ণ হিসেবে চিহ্নিত হলেও ২০১৪-র টেট প্রার্থীদের ক্ষেত্রে কেন তা হয়নি, তা নিয়েই মামলা হয় আদালতে। সেই মামলা শুনানিতে পর্ষদের বিরুদ্ধে কার্যত হুঁশিয়ারি দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বেআইনি হলে পরীক্ষা বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

Advertisements

বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে মামলার শুনানি চলাকালীন চাঁচাছোলা মন্তব্য করতে শোনা যায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে।’দরকার পড়লে পরীক্ষা বন্ধ করে দেব’ বলে সরাসরি মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি। তাঁর কথায়, পর্ষদ মোটেই বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করছে না। তিনি আরও বলেন, আমি আগের মন্তব্য প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হচ্ছি। এখন যদি দেখি পর্ষদ আইন না মেনে কাজ করছে তবে পরীক্ষা বন্ধ দেব। 

Advertisements

আজ শুনানিতে ‌বিচারপতি সাফ জানিয়ে দেন, পর্ষদের আইনের ক্ষেত্রে কোনও বড় গলদ থাকলে পরীক্ষা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিতে পারেন তিনি। তবে কী এবার পর্ষদের ভূমিকা নিয়ে বেজায় ক্ষুব্ধ বিচারপতি পরীক্ষা বন্ধ করার নির্দেশ দিতে পারেন? সেক্ষেত্রে কি নতুন করে জটিলতা তৈরি হবে? উঠছে একাধিক প্রশ্ন।

এনসিটিই এর নিয়ম অনুযায়ী টেট পরীক্ষায় সংরক্ষিত প্রার্থীদের ৫৫ শতাংশ এবং সাধারণ প্রার্থীদের ৬০ শতাংশ নম্বর পেতে হবে। মামলাকারীরা সকলেই সংরক্ষিত প্রার্থী এবং প্রত্যেকেই ১৫০ নম্বরের মধ্যে ৮২ নম্বর পেয়েছেন। কিন্তু প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের যুক্তি, ১৫০-এর মধ্যে ৮২ নম্বর আসলে ৫৪.৬৭ শতাংশ। তাঁদের ৫৫ শতাংশ করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। চাকরিপ্রার্থীরা যদি ১ নম্বর বেশি পেতেন তবে শতাংশের বিচারে তা হত ৫৫.৩৪। অতএব, এ ক্ষেত্রে ৫৫ শতাংশের নিয়ম প্রযোজ্য হত। তাই পর্ষদ সংরক্ষিতদের জন্য ৮২-র পরিবর্তে ৮৩ নম্বর ধার্য করে।

এই সংক্রান্ত আরও খবর

জনপ্রিয় সংবাদ