সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) রায়ে বড় ধাক্কা খেলেন ‘টেন্টেড’ বা অযোগ্য বলে চিহ্নিত প্রার্থীরা। স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) চাকরি সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে বুধবার সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিল, যারা ইতিমধ্যেই অযোগ্য বা ‘টেন্টেড’ হিসেবে চিহ্নিত, তাঁদের আর কোনও ভাবেই নিয়োগের সুযোগ দেওয়া যাবে না। শীর্ষ আদালতের এই রায় প্রার্থীদের জন্য একটি বড় ধাক্কা হলেও, এটি নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা এবং যোগ্যতার মূলনীতিকে শক্তিশালী করার উদ্দেশ্যেই দেওয়া হয়েছে।
বিচারপতি সঞ্জয় কুমার বলেন, “আমরা যোগ্য এবং অযোগ্য বাছাই করিনি। এটি করেছে সিবিআই। যাদের অযোগ্য বলা হয়েছে, তাঁদের কোনও অবস্থায় এই নিয়োগে স্থান নেই।” সুপ্রিম কোর্টের এই বক্তব্য স্পষ্টভাবে নির্দেশ করে যে, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নিয়ম এবং যোগ্যতা যাচাইকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে, এবং কোনো ধরনের অবৈধ প্রভাব বা অনিয়মকে সহ্য করা হবে না।
SSC নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। আগেও আদালত বলেছিল যে, অযোগ্য প্রার্থীদের জন্য আর কোনও সুযোগ নেই। তবে এর পরেও কিছু প্রার্থী পুনর্বিবেচনার আবেদন করেছিল। সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক রায় এই সমস্ত আবেদনকে পুরোপুরি বাতিল করেছে। আদালতের এই অবস্থান প্রমাণ করে যে, নিয়োগে স্বচ্ছতা ও ন্যায়বিচারের দিকটি কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
এবারের রায় শুধুমাত্র ‘টেন্টেড’ প্রার্থীদের জন্য নয়, পুরো শিক্ষা এবং চাকরি ক্ষেত্রের জন্যও একটি সতর্কবার্তা। এটি নির্দেশ করছে যে, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়ম করলে কোনোভাবেই দয়া বা সুযোগ পাওয়া যাবে না। এছাড়াও, এটি অন্য প্রার্থীদের জন্যও একটি শিক্ষা, যাতে তারা প্রক্রিয়ার প্রতি সতর্ক থাকে এবং নিয়ম মেনে চলার গুরুত্ব বোঝে।
সংশ্লিষ্টদের মতে, SSC নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বহুবার অনিয়ম ও প্রার্থীদের অযোগ্যতার বিষয়টি সামনে এসেছে। এই কারণে নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য সুপ্রিম কোর্টের কঠোর অবস্থান প্রয়োজনীয় ছিল। বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, সিবিআই সব প্রয়োজনীয় তদন্ত করেছে এবং যাদের অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে, তারা কোনওভাবেই এই নিয়োগের জন্য উপযুক্ত নয়।
এই রায়ের ফলে অনেক প্রার্থী হতাশ হলেও, এটি দীর্ঘমেয়াদে শিক্ষা ক্ষেত্রের নিয়োগ প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করবে। স্বচ্ছ ও যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া পরিচালনা করা হবে এবং ভবিষ্যতে এই ধরনের অনিয়ম কমবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সুপ্রিম কোর্টের এই রায় শিক্ষাক্ষেত্রে ন্যায়বিচারের একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী, অযোগ্য বা ‘টেন্টেড’ প্রার্থীদের জন্য আর কোনও সুযোগ নেই। এই নির্দেশনা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেয় যে, নিয়োগের ক্ষেত্রে যোগ্যতা প্রমাণ করতে হবে এবং কোনোভাবেই অনিয়ম বা অযোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ করা যাবে না। সুতরাং, যারা নিয়োগ প্রক্রিয়ার নিয়ম ও যোগ্যতা মেনে চলবে, তারাই দীর্ঘমেয়াদে চাকরিতে স্থায়ী হয়ে উঠতে পারবে।


