সঞ্জয়কে যাবজ্জীবন, সরকারকে ক্ষতিপূরণের নির্দেশ, অর্থ নিতে নারাজ নির্যাতিতার বাবা

cbi opposes wb governments plea in calcutta high court

কলকাতা: আরজি করে জুনিয়র চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় দোষী সঞ্জয় রায়কে যাবজ্জীবন দিল শিয়ালদহ আদালত৷ অর্থাৎ আমৃত্যু জেলে থাকতে হবে সঞ্জয়কে৷ এ ছাড়াও তাঁকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও ধর্ষণের জন্য ৭ লক্ষ এবং হত্যার জন্য ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিচারক বলেন, ‘‘নির্যাতিতার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়াটা রাষ্ট্রেরই দায়িত্ব।’’ তবে এই ক্ষতিপূরণ নিতে নারাজ নির্যাতিতার বাবা৷ তিনি এর আগেও ক্ষতিপূরণ নিতে চাননি। তাঁর উদ্দেশে  এদিন বিচারক বলেন, ‘‘আপনি এটা ভাববেন না যে, টাকা দিয়ে ক্ষতিপূরণের চেষ্টা করা হচ্ছে। আমাকে এমন বলা হলে আমিও তাই করতাম।’’

Advertisements

অপরাধ বিরলের মধ্যে বিরলতম নয়

এদিন সঞ্জয়ের সাজা ঘোষণার সময় বিচারক বলেন, “আমি মনে করি এটি বিরলের মধ্যে বিরলতম নয়। সেজন্য আমি আপনাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিচ্ছি৷ ” ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৪, ৬৬ এবং ১০৩ (১)— ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয় সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে। নির্যাতিতার পরিবার ও সিবিআই দোষীর মৃত্যুদণ্ডের জন্য সওয়াল করলেও, শেষমেশ সঞ্জয়কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন  বিচারক অনির্বাণ দাস।

   

আদালতের নির্দেশ শোনার পরেই কাঁদো কাঁদো হয়ে যায় সঞ্জয়। বিড়বিড় করে কিছু বলতে দেখা যায় তাঁকে৷ সঞ্জয়ের আইনজীবী তাঁর কাছে এসে বলেন, ‘‘আপনার মৃত্যুদণ্ড নয়, আমৃত্যু কারাদণ্ড দিল আদালত।’’ শুনে সঞ্জয় বলেন, ‘‘আমার তো বদনাম হয়ে গেল।’’

Advertisements

আরজি কর-কাণ্ডে আদালতের রায়ে মোটেই খুশি নন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিনি বলেন, ‘‘আমরা দোষীর ফাঁসি চেয়েছিলাম। কী করে জানি না… আমাদের হাতে কেসটা থাকলে অনেক আগেই ফাঁসির অর্ডার করে নিতাম।’’