হাসিনার ভবিষ্যৎ নিয়ে চাঞ্চল্যকর মন্তব্য বাংলার আইনজীবীর

rabindra-ghosh-on-sheikh-hasina-verdict

কলকাতা: মানবতা বিরোধী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Rabindra Ghosh)। সোমবার দুপুরে তাকে দোষী সাব্যস্ত করে ট্রাইব্যুনাল আদালত। দোষী সাব্যস্ত করেই দেওয়া হয় মৃত্যুদণ্ড, ফাঁসির আদেশ। এই প্রসঙ্গেই এবার সরব হলেন বাংলার বিশিষ্ট প্রবীণ আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষ। তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন যে এই রায় দেখে তিনি স্তম্ভিত। তিনি বলেন আমাদের সমাজের জন্য আদালতের এই রায় দুর্ভাগ্যজনক।

Advertisements

তিনি আরও বলেন যে একজন মানুষ হিসেবে তিনি শুধুই বিচারহীনতা খুঁজে পাচ্ছেন। প্রবীণ আইনজীবীর মতে একজনকে ফাঁসির সাজা দিতে গেলে কিছু নিয়ম মানতে হয় কিন্তু এক্ষেত্রে সেরকম কোনো নিয়ম মানা হয়নি। তার সঙ্গে তিনি এও জানান যে হাসিনা যদি ফের আবেদন করেন তবে এক মাসের মধ্যে তাকে বাংলাদেশ যেতে হবে। নতুবা এই রায় কার্যকর হয়ে যাবে। রবীন্দ্র ঘোষের এই বক্তব্যে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে। কারণ ভারত এখনও পর্যন্ত হাসিনাকে প্রত্যর্পণ করবে কি না, তা নিয়ে কোনো স্পষ্ট ইঙ্গিত দেয়নি।

   

iPhone 16 Pro বিরাট সস্তা! 20 হাজার ছাড়ে মিলছে প্রিমিয়াম ক্যামেরা ফোন

বিদেশ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জৈসওয়াল সোমবার শুধু বলেছেন, “আমরা রায় নোট করেছি এবং বাংলাদেশের শান্তি-গণতন্ত্র-স্থিতিশীলতার পক্ষে আছি।” কিন্তু রবীন্দ্র ঘোষের মতে, “ভারতের ২০১৩ সালের এক্সট্রাডিশন ট্রিটিতে ‘পলিটিক্যাল অফেন্স’ ক্লজ আছে। যদি ভারত মনে করে এটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, তাহলে প্রত্যর্পণ করতে বাধ্য নয়। আর এই রায় যেভাবে হয়েছে, তাতে রাজনৈতিক রং স্পষ্ট।”তিনি আরও বলেন, “আমি হাসিনার সমর্থক নই।

Advertisements

কিন্তু একজন মানুষ হিসেবে, একজন আইনজীবী হিসেবে আমি বলব—এভাবে কাউকে ফাঁসি দেওয়ার আগে ন্যূনতম ন্যায়বিচারের সুযোগ দিতে হবে। তিনি তো দেশে নেই, তাঁর আইনজীবীদের পূর্ণ সুযোগ দেওয়া হয়নি। এটা বিচারের নামে প্রতিহিংসা।”

প্রবীণ আইনজীবী এও মনে করিয়ে দেন যে, ২০১৩ সালে যখন আইসিটি গঠিত হয়েছিল, তখনও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এর নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। “এখন আবার সেই একই পথে হাঁটা হচ্ছে।” কলকাতার আইনজীবী মহলে রবীন্দ্র ঘোষের এই বক্তব্য নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।

কেউ বলছেন, তিনি সঠিক বলেছেন, আইনের শাসনের কথা বলেছেন। আবার কেউ বলছেন, “যাঁরা জুলাই-আগস্টে হাজার হাজার ছেলেকে মারতে নির্দেশ দিয়েছেন, তাঁদের জন্য এখন ন্যায়বিচারের কথা বলা হচ্ছে?” তবু তাঁর ‘এক মাসের মধ্যে না ফিরলে রায় কার্যকর’ এই দাবিটি এখন সবচেয়ে বেশি আলোচিত। কারণ এর মানে, হাসিনার সামনে এখন দুটো পথ: হয় এক মাসের মধ্যে বাংলাদেশে ফিরে আবেদন করা, নয়তো আইনি দিক থেকে ‘ফাঁসির আসামি’ হয়ে বিদেশে লুকিয়ে থাকা।