HomeWest BengalKolkata Cityশব্দের তাণ্ডব কমেছে কলকাতায়, সচেতনতায় জিতল তিলোত্তমা ,দাবি নগরপালের

শব্দের তাণ্ডব কমেছে কলকাতায়, সচেতনতায় জিতল তিলোত্তমা ,দাবি নগরপালের

- Advertisement -

কলকাতা, ২১ অক্টোবর: দীপাবলি আর কালীপুজোর রাতে আলোর রোশনাইয়ের পাশাপাশি ছড়াল বিষাক্ত ধোঁয়া, শব্দ আর দূষণের দাপট। সোমবার রাতে কালীপুজো উপলক্ষে বাজি ফাটানো ও আতসবাজির (Firecrackers in Diwali)  দৌলতে কলকাতার আকাশ ঢেকে গিয়েছিল ঘন ধোঁয়ায়। শহরের বাতাস যেন বিষে ভরে উঠেছিল—শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল অনেকেরই। অনেক জায়গাতেই শব্দবাজির তাণ্ডব দেখা গিয়েছে, যেগুলির অধিকাংশই নিষিদ্ধ তালিকাভুক্ত। তবু, পুলিশের দাবি—অন্যান্য বড় শহরের তুলনায় কলকাতা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে ছিল।

দীপাবলির রাতে কলকাতার একাধিক জায়গা যেমন—বেহালা, জোকা, সাঁতরাগাছি, টালিগঞ্জ, বেলঘরিয়া, কামারহাটি, দমদম, সল্টলেক, বাগুইআটি, নিউটাউন সহ বিভিন্ন এলাকায় বেপরোয়া ভাবে শব্দবাজি ফাটানো হয়েছে। নিষিদ্ধ বাজি বিক্রির অভিযোগও উঠেছে বহু জায়গা থেকে। বাতাসে ভেসে বেড়ানো ধোঁয়ার কারণে অনেক প্রবীণ ও শিশুর শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়, হাসপাতালে রোগীর ভিড়ও লক্ষ করা গিয়েছে।

   

শহরের বাতাসে দূষণের মাত্রা বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। বিশেষ করে PM2.5 ও PM10-এর মাত্রা আশঙ্কাজনক জায়গায় পৌঁছয়। পরিবেশবিদ ও চিকিৎসকদের মতে, এই মাত্রার দূষণ হৃদরোগ, ফুসফুসের অসুখ এবং শিশুদের শ্বাসকষ্টের কারণ হতে পারে।এই পরিস্থিতির মধ্যেই আশার আলো দেখালেন কলকাতার নগরপাল মনোজ ভার্মা। তাঁর মতে, অন্যান্য মেট্রো শহরের তুলনায় কলকাতায় দূষণের প্রভাব কিছুটা হলেও কম। তিনি বলেন, “আমরা কালীপুজোর আগেই সমস্ত থানাকে সতর্ক করে দিয়েছিলাম। কোথাও যদি বেআইনি বাজি মজুত বা বিক্রি হয়, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছিল।”

কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে কালীপুজোর আগে একাধিক সমন্বয় বৈঠক, অভিযান এবং সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। বেশ কিছু জায়গায় আগেভাগেই বাজি বাজেয়াপ্ত করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পাশাপাশি, সামাজিক মাধ্যমে ও পাড়ায় পাড়ায় প্রচার চালিয়ে সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা করা হয়।

 

- Advertisement -
Suparna Parui
Suparna Paruihttps://kolkata24x7.in/author/suparna-parui
হাতেখড়ি চ্যানেলে। খবরের গন্ধ শনাক্ত করার কৌশল শেখা সেখান থেকেই। তারপর ৬ বছর ধরে বিনোদন রাজনীতির খবরের ব্যবচ্ছেদ করে চলেছি। খবর শুধু পেশা নয়, একমাত্র নেশাও বটে।কাজের পাশাপাশি সিনেমা দেখতে, গান শুনতে, বেড়াতে যেতে খুব ভালোলাগে। তাই সময় সুযোগ পেলেই বেরিয়ে পড়ি নতুন অ্যাডভেঞ্চারের উদ্দেশ্যে।
এই সংক্রান্ত আরও খবর
- Advertisment -

Most Popular