আগামী কয়েক ঘণ্টায় বজ্রসহ বৃষ্টি, জারি কমলা সতর্কতা

South Bengal Rain Forecast

কলকাতা: শরতের মাঝামাঝি সময়েও ফের আকাশে কালো মেঘের আনাগোনা। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ২ থেকে ৩ ঘণ্টার মধ্যেই রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকায় ধেয়ে আসতে চলেছে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়-বৃষ্টি (weather forecast)। দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় ইতিমধ্যেই জারি হয়েছে কমলা সতর্কতা।

Advertisements

দক্ষিণ বাংলাদেশ ও উত্তর ওড়িশায় দুটি ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে ফের সক্রিয় হয়েছে মৌসুমি বায়ু। তার জেরেই বঙ্গজুড়ে বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। শুক্রবার থেকেই দক্ষিণবঙ্গের আকাশ থাকবে মেঘলা, সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি।

   

আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গেছে, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, নদিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব-পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম জেলায় আজ ঝড়-বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। বজ্রপাতের সঙ্গে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা হাওয়া বইতে পারে।

বিশেষ করে নদিয়া ও দুই ২৪ পরগনায় শুক্রবার ও শনিবার জারি করা হয়েছে কমলা সতর্কতা। এই সতর্কতার অর্থ, আবহাওয়ার পরিস্থিতি বিপজ্জনক হতে পারে — তাই প্রশাসন ও নাগরিকদের সাবধানতা অবলম্বন করার পরামর্শ।

শনিবার পর্যন্ত বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি চলবে। রবিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়ায় বড় পরিবর্তন ঘটবে। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কমে আসবে, ফলে আকাশ ধীরে ধীরে পরিষ্কার হবে।

Advertisements

১২ অক্টোবরের মধ্যে উত্তরবঙ্গে বিদায় নিতে পারে বর্ষা, আর ১৯ অক্টোবরের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গ থেকেও মৌসুমি বায়ুর বিদায় সম্পূর্ণ হবে। এরপরই শুরু হবে হালকা ঠান্ডা ভাব।

২০ অক্টোবর থেকে উত্তরবঙ্গের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কমতে শুরু করবে বলে পূর্বাভাস। পাহাড়ি অঞ্চল ও ডুয়ার্সে ভোর ও রাতে শীতের আমেজ স্পষ্ট হবে। আবহাওয়া দফতরের মতে, অক্টোবরের ১৫ তারিখের পর থেকে অন্তত এক সপ্তাহ উত্তরবঙ্গের আকাশ থাকবে ঝলমলে ও মেঘমুক্ত। সেই সময়ে দার্জিলিং, কালিম্পং ও সিকিম থেকে স্পষ্ট দেখা যাবে কাঞ্চনজঙ্ঘার মনোরম দৃশ্য।

এদিকে, বিহার ও ঝাড়খণ্ডে ইতিমধ্যেই শুষ্ক আবহাওয়া শুরু হয়েছে। আগামী সপ্তাহে ওড়িশা ও বাংলাতেও সেই ধারা পৌঁছাবে। ফলে আগামী সপ্তাহের শুরু থেকেই রাজ্যে শুষ্ক ও ঠান্ডা আবহাওয়া দেখা দিতে পারে।

তবে বর্ষা বিদায়ের পরেই বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে পারে এক নতুন ঘূর্ণিঝড়। ২৭ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বরের মধ্যে ‘মান্থা’ নামের ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে বলে সূত্রের খবর। এই ঘূর্ণিঝড়ের পর নভেম্বরের শেষ ও ডিসেম্বরের শুরুতে রাজ্যে নামবে শীতের প্রথম ধাপ।