HomeWest BengalKolkata City‘বাংলায় আর জঙ্গির ঠাঁই হবে না’, কড়া বার্তা দিলীপের

‘বাংলায় আর জঙ্গির ঠাঁই হবে না’, কড়া বার্তা দিলীপের

- Advertisement -

কলকাতা, ১৪ নভেম্বর: দিল্লির সাম্প্রতিক বিস্ফোরণকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে উত্তেজনা চরমে। দেশে নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে নানা প্রশ্ন উত্থাপিত হচ্ছে। এই অবস্থায় শুক্রবার বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা ও সাংসদ দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বিস্ফোরণটিকে “বড় ষড়যন্ত্র” বলে দাবি করেন। তাঁর বক্তব্যে আভাস পাওয়া যায়, সরকারের তদন্তকারী সংস্থাগুলি যেভাবে নড়েচড়ে বসেছে, তাতে ঘটনাটির প্রকৃত চেহারা সামনে আসতে বেশি সময় লাগবে না।

দিলীপ ঘোষ বলেন, “এই ঘটনা বড় ষড়যন্ত্র ছিল। সরকারের এজেন্সি তদন্ত করছে। ধীরে ধীরে এই ষড়যন্ত্র কতটা গভীর ছিল, তা জানতে পারছেন সাধারণ মানুষ। এই ঘটনার গভীরে পৌঁছবে সরকার। সবাইকে আইনের মুখোমুখি করা হবে। তার পরে দেশ থেকে জঙ্গি কার্যকলাপ প্রায় শেষ হয়ে যাবে।” তাঁর কথায় স্পষ্ট, তিনি এই ঘটনার পেছনে সুপরিকল্পিত জঙ্গি নেটওয়ার্কের ছায়া দেখছেন এবং দাবি করছেন যে সরকার এই নেটওয়ার্ক ভেঙে দিতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।

   

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, দিল্লি বিস্ফোরণের তদন্ত এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে থাকলেও, বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সংস্থা ইতিমধ্যেই বিস্ফোরণের পদ্ধতি, সম্ভাব্য উদ্দেশ্য এবং সংগঠিত নাশকতাকারীদের ভূমিকা খতিয়ে দেখছে। দিলীপ ঘোষের মন্তব্য ইঙ্গিত দিচ্ছে, তদন্তের মাধ্যমে যে তথ্য ধীরে ধীরে উঠে আসছে, তা হয়তো আরও বিস্তৃত ও গভীর ষড়যন্ত্রের দিকেই নির্দেশ করছে।

তিনি আরও বলেন, “সরকারের নিরাপত্তা সংস্থাগুলি আগের চেয়ে অনেক বেশি সক্রিয়। দেশের বিরুদ্ধে কাজ করা শক্তিগুলিকে কোনওভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না। যারা সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে খেলতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতেই হবে।” তাঁর বক্তব্যে প্রতিফলিত হয়েছে যে, তিনি জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিকেই সমর্থন করেন।

এই মন্তব্য ঘিরে রাজনৈতিক তরজাও শুরু হয়েছে। বিরোধী দলগুলির মতে, সরকারের নিরাপত্তা ব্যবস্থার ব্যর্থতার ফলেই রাজধানীর বুকে এমন ঘটনা ঘটেছে। তবে দিলীপ ঘোষের মতে, “বিরোধীরা শুধু দোষারোপ করতেই জানে। কিন্তু দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে সরকার যে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে, তা ওদের চোখে পড়ে না। যারা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে, তাদের শাস্তি নিশ্চিতই হবে।” এই ঘটনার পরে দিল্লিসহ বিভিন্ন রাজ্যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও শক্ত করা হয়েছে। রেলস্টেশন, বিমানবন্দর, গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর— সব জায়গায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাগুলিও সাইবার ট্র্যাকিং থেকে শুরু করে বিস্ফোরণে ব্যবহৃত সম্ভাব্য সরঞ্জামগুলির উৎস সন্ধানে দ্রুতগতিতে তৎপর।

দিলীপ ঘোষ বলেন, “এটা শুধু একটা বিস্ফোরণের ঘটনা নয়, এটা দেশের ভেতরে অশান্তি ছড়ানোর এক গভীর ষড়যন্ত্র। আমাদের দেশের নিরাপত্তা বাহিনী যথেষ্ট শক্তিশালী। তারা জঙ্গিদের খুঁজে বের করে আইনের মুখোমুখি দাঁড় করাবে। সংস্থাগুলি এই মুহূর্তে খুবই ধারাবাহিকভাবে কাজ করছে। তদন্ত যত এগোবে, তত অনেক অজানা তথ্য সামনে আসবে।”

তিনি আরও দাবি করেন যে, সরকার যদি কঠোর হাতে এই নাশকতামূলক কার্যকলাপ দমন করে, তবে “দেশ থেকে জঙ্গি কার্যকলাপ প্রায় শেষ হয়ে যাবে।” তাঁর মতে, গত কয়েক বছরে সরকার জঙ্গিবাদ দমনে বহু কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে, এবং তারই ফলস্বরূপ জঙ্গি নেটওয়ার্কের শক্তি আগের তুলনায় অনেকটাই ক্ষয়প্রাপ্ত। দিল্লির বিস্ফোরণ হয়তো সেই দুর্বল নেটওয়ার্কের শেষ প্রচেষ্টা বলেও তিনি ইঙ্গিত দেন।

 

 

- Advertisement -
এই সংক্রান্ত আরও খবর
- Advertisment -

Most Popular