১৩ হাজার শিক্ষক নিয়োগের অনুমোদন, চাকরিপ্রার্থীদের জন্য বড় উপকার

কলকাতা ২৪ সেপ্টেম্বর: চাকরিপ্রার্থীদের জন্য এবার বড় সুখবর। ২০২৩ সালের প্রাথমিক শিক্ষক (TET) নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে এক দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর আজ সন্ধ্যায় ফল প্রকাশ পেতে…

Massive Recruitment Drive: 13,000+ Primary Teacher Posts Cleared

কলকাতা ২৪ সেপ্টেম্বর: চাকরিপ্রার্থীদের জন্য এবার বড় সুখবর। ২০২৩ সালের প্রাথমিক শিক্ষক (TET) নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে এক দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর আজ সন্ধ্যায় ফল প্রকাশ পেতে পারে বলে জোর জল্পনা তৈরি হয়েছে।

Advertisements

এদিকে, চাকরিপ্রার্থীদের জন্য আরও এক সুখবর এসেছে। ১৩ হাজার ৪২১টি শূন্যপদে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে অর্থদপ্তর, যা শিক্ষাদপ্তরকে কার্যক্রম শুরু করার অনুমতি প্রদান করেছে। এই অনুমোদন পুজোর মরশুমে চাকরিপ্রার্থীদের জন্য এক বড় উপহার হিসেবে ধরা হচ্ছে।

Advertisements

প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষাদপ্তর ইতিমধ্যেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে প্রস্তুত। অনুমোদিত এই শূন্যপদগুলোতে দ্রুত শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। শূন্যপদের মধ্যে রয়েছে গ্রাম্য, শহর এবং নগর এলাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ। প্রার্থীরা TET পরীক্ষার মাধ্যমে যোগ্যতা অর্জন করেছেন এবং সরকারের এই অনুমোদনের মাধ্যমে অবশেষে স্থায়ী নিয়োগের দিকে ধাপ নেবে।

Also Read | ওডিশার এই উইঙ্গারকে নিয়ে আগ্ৰহী আইএসএলের একাধিক ক্লাব

চাকরিপ্রার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে সরকারের কাছ থেকে এই সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। বিভিন্ন আন্দোলন, চিঠি ও অনুরোধের পর এই অনুমোদন দেওয়ায় প্রার্থীরা ইতিবাচক সাড়া পেয়েছেন। শিক্ষার্থীরা জানাচ্ছেন, “TET পরীক্ষার ফল প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষক নিয়োগের অনুমোদন আসায় আমাদের অপেক্ষা এখন আরও অর্থবহ হয়ে উঠল। পুজোর আনন্দ এবার আরও দ্বিগুণ।”

এছাড়া, সরকারি সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষাদপ্তর দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে চাইছে। প্রাথমিকভাবে শিক্ষার্থীদের তালিকা চূড়ান্ত করা হবে, এরপর শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগের জন্য নিয়োগপত্র জারি করা হবে। এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে হাজার হাজার প্রার্থী অবশেষে শিক্ষক পদে স্থায়ীভাবে নিয়োগ পাবেন।

রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পুজোর আগে এই অনুমোদন দেওয়ার উদ্দেশ্য চাকরিপ্রার্থীদের উৎসাহিত করা এবং শিক্ষার মান বজায় রাখা। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত শিক্ষকের উপস্থিতি নিশ্চিত করা শিক্ষার্থীদের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য সরকার দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে জোর দেওয়া হচ্ছে।