ফের ব্লু লাইনে বিভ্রাট! গিরিশ পার্ক পর্যন্ত মেট্রো সেবা ব্যাহত, নাকাল যাত্রীরা

কলকাতা: শহরের ব্লু লাইনে ফের মেট্রো বিভ্রাট৷ বিপাকে নিত্যযাত্রীরা৷ শনিবার দুপুর পৌনে একটার দিকে দমদম স্টেশনে হঠাৎ ঘোষণা করা হয়, “অনিবার্য কারণে এই মুহূর্তে দমদম…

Kolkata Metro Blue Line Disruption

কলকাতা: শহরের ব্লু লাইনে ফের মেট্রো বিভ্রাট৷ বিপাকে নিত্যযাত্রীরা৷ শনিবার দুপুর পৌনে একটার দিকে দমদম স্টেশনে হঠাৎ ঘোষণা করা হয়, “অনিবার্য কারণে এই মুহূর্তে দমদম আপ ও ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ।” প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে এই বিভ্রাটে দক্ষিণেশ্বর থেকে গিরিশ পার্ক পর্যন্ত যাত্রীরা আটকে পড়েন।

Advertisements

অতিমাত্রায় ধীর গতিতে চলছে মেট্রো

যাত্রীদের অভিযোগ, শহিদ ক্ষুদিরাম থেকে গিরিশ পার্ক পর্যন্ত ট্রেন চললেও তা অতিমাত্রায় ধীর গতিতে চলছে। এক যাত্রী জানান, এসপ্ল্যানেড থেকে গিরিশ পার্ক পর্যন্ত যাত্রায় ২০–২৫ মিনিট বেশি সময় লেগেছে, আবার নেতাজি থেকে গিরিশ পার্কে আসতে প্রায় এক ঘণ্টা সময় লেগেছে। অনেকেই এই সময় জটিলতার কারণে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন।

Advertisements

এই বিভ্রাট ব্লু লাইনের জন্য নতুন নয়। পুজোর আগের সপ্তাহে, গত ৭ অক্টোবর মঙ্গলবার সকালে দক্ষিণেশ্বর থেকে দমদমগামী মেট্রো লাইনেও সিগন্যাল বা পয়েন্ট সমস্যার কারণে পরিষেবা ব্যাহত হয়েছিল। সে সময়ও যাত্রীরা দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করতে বাধ্য হয়েছিলেন।

শনিবারের ঘটনার সময় দমদম স্টেশনে যাত্রীদের ভিড় লক্ষ্য করা যায়। হঠাৎ ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বহু যাত্রী চরম ভোগান্তিতে পড়েন। অনেকে ট্রেনের প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকলেও পরিষেবা পুনরায় শুরু না হওয়া পর্যন্ত কোনো বিকল্প ব্যবস্থা নিতে পারেননি।

কী কারণে এই বিভ্রাট? Kolkata Metro Blue Line Disruption

মেট্রো কর্মকর্তারা জানাননি ঠিক কী কারণে এই বিভ্রাট ঘটেছে। যদিও শহিদ ক্ষুদিরাম থেকে গিরিশ পার্ক পর্যন্ত ট্রেন চলাচল চালু ছিল, তা ধীর গতিতে চলার কারণে যাত্রীরা যথেষ্ট দেরিতে তাদের গন্তব্যে পৌঁছেছেন।

যাত্রীদের অভিযোগ, এই ধরনের পুনরাবৃত্ত সমস্যা বিশেষ করে উৎসব বা ছুটির সময় যাত্রাকে আরও জটিল ও অস্বস্তিকর করে তোলে। ট্রানজিট পরিষেবা স্বাভাবিক রাখার ক্ষেত্রে প্রশাসনিক সতর্কতার প্রয়োজনীয়তা একবারেই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

ব্লু লাইন ব্যবহারকারীরা আশা করছেন, মেট্রো কর্তৃপক্ষ দ্রুত সমস্যার স্থায়ী সমাধান নিশ্চিত করবে, যাতে ভবিষ্যতে এমন বিভ্রাট ও দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পরিস্থিতি এড়ানো যায়।