Sunday, December 7, 2025
HomeWest BengalKolkata Cityঘরোয়া বৈঠকে দর কষাকষির আশঙ্কা করছেন চাকরি প্রার্থীরা

ঘরোয়া বৈঠকে দর কষাকষির আশঙ্কা করছেন চাকরি প্রার্থীরা

- Advertisement -

রাজনৈতিক কার্যালয়ে আন্দোলনকারীদের চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী কী করছিলেন? কেন ঘরোয়া বৈঠক করা হল? এই প্রশ্ন তুলেছিলেন চাকরি প্রার্থীদের একাংশ৷ সোমবার ব্রাত্য বসু জানালেন, সে দিন শিক্ষামন্ত্রী নয়, তিনি তৃণমূলের সহ-সভাপতি হিসাবে ওই বৈঠকে হাজির ছিলেন। তবে কী এবার বরফ গলবে? এই প্রশ্নের মাঝেই বিস্ফোরক মন্তব্য চাকরি প্রার্থীদের একাংশের৷

তাঁদের বক্তব্য, এই বৈঠককে তাঁরা এখনও সমর্থন করছেন না৷ গান্ধী মুর্তির পাদদেশে আন্দোলনরত একটি মঞ্চের সঙ্গে শাসক দল বৈঠক করেছে। কিন্তু যুব ছাত্র অধিকার মঞ্চের কোন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না৷ আলাদা করে শাসক দলের তরফে ডাকাও হয়নি। তাঁদের বক্তব্য, ঘরোয়া বৈঠকে দর কষাকষি হয়ে থাকে৷

   

উদাহরণস্বরূপ চাকরি প্রার্থীরা জানিয়েছেন, এর আগে ২০১৯ সালে পাঁচ জনের একটি প্রতিনিধি দল তৎকালীন শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। পরবর্তীতে দেখা যায় ওই প্রতিনিধি দলের সদস্য, তাঁদের অনুগামী এবং ঘনিষ্ঠরা চাকরি পায়৷ পরবর্তীকালে বাকিদের বঞ্চনার শিকার হতে হয়। তারপর থেকে তিন দফায় ৫০০ দিনের অধিক সময় ধরে আন্দোলন করতে হচ্ছে তাঁদেরকে।

যুব ছাত্র অধিকার মঞ্চের বক্তব্য, রাজনৈতিক বৈঠকে উপস্থিত থাকার সিদ্ধান্ত যারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তাঁদের ব্যক্তিগত। তাঁরা ১০০ শতাংশ বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের দ্রুত নিয়োগ ও কাউন্সেলিংয়ের দাবি জানাচ্ছেন। তবে সেই দাবি পুরণ না হওয়া অবধি যুব ছাত্র অধিকার মঞ্চের তরফে গান্ধী মুর্তির পাদদেশে ধর্না জারি থাকবে। একেবারে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন তাঁরা।

অন্যদিকে, আগামী ৮ তারিখ শিক্ষামন্ত্রীর দফতরে চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনার জন্য ৮ তারিখ চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি৷ শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ওরা ৮ তারিখ বৈঠকে বসার জন্য আবেদন করার কথা৷ আশা করছি শীঘ্রই আবেদন পেয়ে যাবো৷ সেই বৈঠকে সরকারের তরফে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়? এখন সেটাই দেখার।

- Advertisement -
এই সংক্রান্ত আরও খবর
- Advertisment -

Most Popular