জগদ্দলের পুজো মণ্ডপে জেহাদি তাণ্ডবের অভিযোগ অর্জুনের

Durga Puja 2025

কলকাতা ৩০ সেপ্টেম্বর: আবারও দূর্গাপুজোর আবহে অশান্তির ঝড় (Durga Puja 2025)। এবারের ঘটনাস্থল উত্তর ২৪ পরগনার জগদ্দল। জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ এবং বিজেপি নেতা অর্জুন সিংয়ের গড় হিসেবে পরিচিত এই জগদ্দলে পুজো মণ্ডপে হামলা চালাল মুসলিম সম্প্রদায়ের কিছু দুষ্কৃতী। গতরাতে কিছু মুসলিম দুষ্কৃতী একটি দুর্গাপূজোর প্যান্ডেলে ঢুকে ইচ্ছেমতো লাথালাথি করে অশান্তি সৃষ্টি করে। সেখানে উপস্থিত ৩-৪ জন পুলিশকর্মী তাদের বুঝিয়ে সরাতে চেষ্টা করলেও জেহাদিরা কিছুতেই পরোয়া করেনি।

Advertisements

অর্জুন সিংয়ের পরিবার দীর্ঘ দশক ধরে এই দুর্গাপূজার আয়োজন করে আসছে। শব্দ শুনে অর্জুন বাড়ি থেকে বেরোলে ওই দুষ্কৃতীরা পালাতে পালাতে ৩ রাউন্ড গুলি চালায় এবং একটি নির্মীয়মাণ মন্দিরের দিকে বোমা ছোঁড়ে, তবে সেই বোমা ফাটেনি বলেই জানা গিয়েছে। অর্জুন সিং অভিযোগ করেছেন পুরো ঘটনাটি ঘটে পুলিশের উপস্থিতিতে।

   

অর্জুনের বয়ান অনুযায়ী পুলিশ সুরোক্কাহ দেওয়ার পরিবর্তে নিজেরাই সুরক্ষিত জায়গা খুঁজে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করে। অর্জুন আরও অভিযোগ করেছেন যে তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা পশ্চিমবঙ্গ পুলিশকে পাত্তা দেয় না, কারণ তারা তাদের নিজেদের সহযোগী হিসেবেই মনে করে। দুর্গাপূজার সময়, যখন সমস্ত সনাতনীরা উৎসবে মেতে থাকে, তখনই এই জেহাদিরা মন্দিরে হামলা চালিয়েছে।

বিজেপি নেতার মতে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট কেবল দর্শকের ভূমিকায়। তারা শাসকদলের রাজনৈতিক হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। অর্জুন সিংহ ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের কাছে আবেদন জানিয়েছেন যাতে দ্রুত দোষীদের গ্রেফতার করা হয় এবং এলাকায় শান্তি ফিরে আসে। এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হলে সাধারণ মানুষ কড়া ভাষায় নিন্দে করেন এই ঘটনার। তাদের মতে এবারের দুর্গাপুজোতে যেভাবে অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে তা আগে কখনোই দেখা যায়নি।

Advertisements

অক্টোবর থেকে সোনা-রুপোর ঋণ পেতে সহজ নিয়ম আনল RBI

কখনও থিম নিয়ে সমস্যা আবার কখনও জনজীবন ব্যহত হচ্ছে বলে পুজো প্যান্ডেলে পুলিশের দাদাগিরি। মুর্শিদাবাদে পুজোর প্যান্ডেলে অঞ্জলীর বদলে আজানের সময়সূচি আগেই ভাইরাল হয়েছে। তার সঙ্গে উত্তর ২৪ পরগনার জগদ্দলে পুজো প্যান্ডেলকে লক্ষ করে বোমা গুলি ছোঁড়ার ঘটনায় দুর্গাপুজোর উৎসব ম্লান হয়ে যেতে বসেছে। জগদ্দল বরাবরই মুসলিম প্রধান এলাকা। দেশের বিভিন্ন জায়গায় হিন্দু মুসলিম সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনায় উত্তপ্ত হয়েছে পরিস্থিতি এবং তার সূত্র ধরেই বাংলাতেও মুসলিম দুষ্কৃতীরা অশান্তির বাতাবরণ তৈরী করতে চাইছে বলে অভিযোগ সাধারণ মানুষের।