হকি বেঙ্গলের সভাপতি হলেন মন্ত্রী সুজিত বসু

মুখ্যমন্ত্রীর ভাই স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরিয়ে হকি বেঙ্গলের সভাপতি হলেন সুজিত বসুকে (Sujit Bose)৷ শনিবার রাজ্য হকি সংস্থার সভায় সভাপতিপদের জন্য সুজিতের (Sujit Bose) নাম ঘোষণা…

মুখ্যমন্ত্রীর ভাই স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরিয়ে হকি বেঙ্গলের সভাপতি হলেন সুজিত বসুকে (Sujit Bose)৷ শনিবার রাজ্য হকি সংস্থার সভায় সভাপতিপদের জন্য সুজিতের (Sujit Bose) নাম ঘোষণা হয়েছে। প্রায় ১২ বছর সভাপতি পদে ছিলেন বাবুন। তবে এবার দমকলমন্ত্রীর পাশাপাশি এই নয়া পদও সামলাবেন সুজিত বসু।

Advertisements

তবে এত বছর ধরে কাজ করছেন বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায়৷ কিন্তু হঠাৎ করে কেন তাঁকে সরানো হল এই পদ থেকে তা নিয়ে উঠেছে নানা প্রশ্ন৷ কারণ ১২ বছরে নিজে উদ্যোগে নিয়েই হকি খেলার জন্য দু’টি অ্যাস্ট্রো টার্ফ মাঠ তৈরি করেছেন তিনি। সল্টলেকে হকি খেলার জন্য একটি অ্যাস্ট্র টার্ফ স্টেডিয়াম তৈরি শেষের পথে। এই স্টেডিয়াম তৈরির পুরোদায়িত্বেই ছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর ছোট ভাই৷

Advertisements

এরপর পরবর্তীতে হিডকোর জমিতে তৈরি করেছিলেন আরেকটি স্টেডিয়াম৷ কিন্তু সফল একজন সভাপতিকে কেন সরিয়ে দেওয়া হল তা নিয়ে উঠেছে বূহু প্রশ্ন৷ এই প্রসঙ্গ নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে, হকি বেঙ্গলের সভাপতি পদ থেকে সরে যাওয়া নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে নারাজ মুখ্যমন্ত্রীর ছোট ভাই। বাবুন বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা অনুযায়ী, দল যা সিদ্ধান্ত নেবেন সেটাই সঠিক৷ দলের গুরুত্বতে প্রাধান্য দিতে চান৷

অন্যদিকে কয়েকমাস আগেই সল্টলেক, রাজারহাট, গোপালপুর মূলত অফিস পাড়ায় রাস্তার দু’পাশে ফুটপাত দখল করে গজিয়ে উঠো বিভিন্ন ধরনের খাবারের দোকান নিয়ে সুজিত বসুকে দুষেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বিষয়কে কেন্দ্র করে রীতিমতো ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷

কার্যত এই প্রশাসনিত বৈঠকে বিধাননগর বিধানসভার বিধায়ক সুজিত বোসের (Sujit Bose) দিকে তাকিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে শোনা গেল, “একটা করে ত্রিপল টাঙাচ্ছে আর বসে পড়ছে। কত টাকার বিনিময়ে, কারা নিয়েছে টাকা? কেন এখানকার কাউন্সিলররা কাজ করেন না?”

তবে এখানেই শেষ নয়, এরপরই একটি ছবি তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন,“ছবি দেখালে নিজেরাই লজ্জা পাবেন। এ একটা করে ত্রিপল লাগাচ্ছেন বসে পড়ছেন। কেন? হোয়াই…হোয়াই…হোয়াই? কেন রাস্তা ঝাড় দেয় না। শুধু কি উপর দিকে তাকালে হবে? কলকাতা শহরের ভিডিয়ো করা ছিল কোন রাস্তা কতটা দখল রয়েছে। তা সত্ত্বেও একটা করে নতুন ওসি আসে। আর বসিয়ে দেয়। আমি বেরলেই দেখতে পাই। অথচ পুলিশের চোখে পড়ে না।”