কলকাতা: দমদমে ১৪ বছরের বাঙালি বোনকে গণ ধর্ষণ করেছে বিহার থেকে আসা তিন ক্রিমিনাল সাঞ্জু সাউ, ভিকি পাসওয়ান, রাজেস পাসওয়ান। (Banglapokkho)বাংলা পক্ষ শুরু থেকেই তিন গণ ধর্ষক বহিরাগত ক্রিমিনালের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে লড়ছে৷ এর আগে দমদম থানা ঘেরাও করেছিল বাংলা পক্ষ।
আজ বাংলা পক্ষর উত্তর চব্বিশ পরগনা শহরাঞ্চল সাংগঠনিক জেলার উদ্যোগে দমদম এয়ারপোর্ট ১ নং গেট থেকে তিন গণ ধর্ষকের পাড়া ও নির্যাতিতা বাঙালি বোনের পাড়া কালীধান কলোনী হয়ে গোরাবাজারের মধ্য দিয়ে গিয়ে নাগেরবাজারে শেষ হয় মিছিল।
কয়েক হাজার সাইক্লিস্টের প্যাডেলে কেঁপে উঠল ভোরের কলকাতা
সাধারণ সম্পাদক গর্গ চট্টোপাধ্যায় এই মিছিলের নেতৃত্ব দেন। মিছিলের উদ্যোক্তা জেলা সম্পাদক পিন্টু রায়। উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি, শীর্ষ পরিষদ সদস্য মহ: সাহীন, কলকাতা জেলার সম্পাদক সৌম্য বেরা, উত্তর চব্বিশ পরগনা গ্রামীন সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক দেবাশীষ মজুমদার। উপস্থিত ছিলেন জেলা কমিটি মেম্বার অর্পণ ঘোষ, সৌমেন পন্ডা, লীনা রায়, প্রীতি মিত্র, কাকলী মজুমদার, প্রলয় চন্দ্র সরকার।
দাবি একটাই বাঙালি বোনের গণ ধর্ষণকারী সাঞ্জু সাউ, ভিকি পাসওয়ান, রাজেস পাসওয়ানের ফাঁসি চাই। মিছিলের প্রচুর মানুষ যোগ দেন। দমদম সহ পুরো বাংলায় বিহার- ইউপির ক্রিমিনাল বাড়ছে কেন? রাজ্য সরকারের কাছে জবাব চায় আজকের মিছিল। রাত দখল না হলেও, সব দল চুপ থাকলেও, মিডিয়া কেসটা চেপে দিলেও বাংলা পক্ষ এই লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে৷ বাঙালি মা- বোনেদের নিরাপত্তা চাই৷
গর্গ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বাংলা জুড়ে বিহার- ইউপির ক্রিমিনাল বাড়ছে। ১৪ বছরের বাঙালি বোনের গণধর্ষণ করেছে বিহার থেকে আসা তিন ক্রিমিনাল। এটা অন্য রাজ্যে সম্ভব? গুজরাটে এক গুজরাটি নাবালিকাকে ধর্ষণ করেছিল এক হিন্দিভাষী ক্রিমিনাল। ৭ দিনে ২৫ হাজার হিন্দিভাষীকে গুজরাট থেকে বিতাড়িত করা হয়েছিল। আমরা আইন ও সংবিধান মেনে ফাঁসি চাইছি।”
কৌশিক মাইতি বলেন, “বিহার থেকে আসা ধর্ষক সাঞ্জায় রাই, ভিকি পাসওয়ানরা পাড়ায় পাড়ায় বাড়ছে কেন? বাংলাকে বিহার বানানো হচ্ছে। রাজ্য সরকার চুপ। বিভিন্ন দল ভোটের লোভে এই বহিরাগত ক্রিমনালদের তেল দেয়। এটা লজ্জাজনক।”
জেলা সম্পাদক পিন্টু রায় বলেন, “দমদমে এভাবে ১৪ বছরের বাঙালি বোনকে গণধর্ষণ করা হল। আমরা এই তিন বহিরাগত ক্রিমিনালদের ফাঁসির দাবিতে লড়ছি। কোনো দল রাস্তায় না থাকলেও, কেউ রাত দখল না করলেও, দমদমের মা- বোনেদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করলে বাংলা পক্ষ লড়াই চালিয়ে যাবে৷ “

