রাজ্যের বিশেষ উদ্যোগ, উৎসবকে ঘিরে পরিচ্ছন্নতার বড় পদক্ষেপ

দুর্গাপুজোকে ঘিরে আবারও বড় পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার। এবারের উৎসবে প্যান্ডেল ভিড়, মেলা, আর মণ্ডপ চত্বরে জমে থাকা আবর্জনা থেকে মুক্ত রাখতে চালু হচ্ছে ‘নির্মল…

West Bengal Not Prepared for EC's Special Voter List Revision, Chief Secretary Tells in Letter: Sources

দুর্গাপুজোকে ঘিরে আবারও বড় পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার। এবারের উৎসবে প্যান্ডেল ভিড়, মেলা, আর মণ্ডপ চত্বরে জমে থাকা আবর্জনা থেকে মুক্ত রাখতে চালু হচ্ছে ‘নির্মল দুর্গাপুজো অভিযান’ (Nirmal Puja Abhiyan 2025)। এই উদ্যোগ চলবে টানা আট দিন, ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত।

Advertisements

উৎসবের মরসুমে লাখ লাখ মানুষের আনাগোনায় বিপুল বর্জ্য তৈরি হয়। সেই আবর্জনা সময়মতো সরানো না গেলে ভিড়ের মাঝে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকি বাড়ে। তাই এবার রাজ্য সরকার আগেভাগেই উদ্যোগ নিয়ে জেলায় জেলায় বিশেষ পরিষ্কার–পরিচ্ছন্নতার নির্দেশ দিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এই অভিযানে যুক্ত থাকবেন ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধিরা, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা, পরিচ্ছন্নতা কর্মী এবং স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্যরা। এমনকি স্থানীয় বাসিন্দাদেরও স্বেচ্ছাশ্রমে অংশগ্রহণে উৎসাহিত করা হচ্ছে। প্রশাসনের মতে, জনসাধারণের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়া এই কর্মসূচি পূর্ণ সাফল্য পাবে না।

যেখানে প্রচুর আবর্জনা জমে রয়েছে, সেগুলি চিহ্নিত করে দ্রুত পরিষ্কার করতে হবে। প্রতিটি জেলার প্রশাসনকে পরিষ্কারের ভিডিও ফুটেজ পাঠাতে হবে দফতরে, যাতে নবান্ন সরাসরি কাজের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করতে পারে। প্লাস্টিক বর্জনের বিকল্প ব্যবহারের প্রচারকে বড় করে দেখা হচ্ছে। দুর্গাপুজো মণ্ডপ, জনবহুল এলাকা এবং বাজার চত্বরগুলোতে ব্যানার–পোস্টারের মাধ্যমে পরিচ্ছন্নতার বার্তা পৌঁছে দেওয়া হবে।

সরকারি দফতরের তরফে স্পষ্ট করা হয়েছে, কেবল পরিষ্কার–পরিচ্ছন্নতা নয়, মানুষের মানসিকতার পরিবর্তনই এই অভিযানের মূল লক্ষ্য। উৎসবের আনন্দে যদি সবাই একসঙ্গে এগিয়ে আসে, তবে এটি দীর্ঘমেয়াদি ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

প্রশাসনের আশা, এই অভিযানের মাধ্যমে কেবল দুর্গাপুজোর সময় নয়, সারা বছর জুড়েই পরিচ্ছন্নতার অভ্যাস গড়ে তোলা যাবে। পাশাপাশি এই উদ্যোগ আন্তর্জাতিক স্তরে বাংলার পরিচ্ছন্ন ও পরিবেশবান্ধব দুর্গোৎসবের ভাবমূর্তি তৈরি করবে।

‘নির্মল দুর্গাপুজো অভিযান’-এর মাধ্যমে রাজ্য সরকার একদিকে যেমন দুর্গাপুজোকে আরও পরিচ্ছন্ন ও পরিবেশবান্ধব করে তুলতে চাইছে, তেমনই দীর্ঘমেয়াদি দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে। প্রশাসনের আশা, সরকার, জনগণ ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন একসঙ্গে কাজ করলে দুর্গোৎসবের আবহ থেকেই শুরু হবে এক ‘সবুজ ও পরিচ্ছন্ন বাংলা’-র পথচলা।