বেকারত্বের হারে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন পশ্চিমবঙ্গ, কেন্দ্রের রিপোর্টে খুশি মমতা

Mamata Banerjee

শিক্ষিত হয়েও বেকার, এরকম বেকারের সংখ্যার হার অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় বাংলায় অনেক কম। বেকারত্বের হারে দেশের মধ্যে দেশের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন পশ্চিমবঙ্গ। পড়াশোনা করেও এ রাজ্যে চাকরি মেলে না, এই অভিযোগ অনেকদিনের। যাকে বারবার হাতিয়ার করে বিজেপি-সহ বিরোধী দলগুলি আন্দোলনও করেছে। কিন্তু কেন্দ্রের করা সমীক্ষায় এবার সেই অভিযোগে ধাক্কা খেল।

Advertisements

কেন্দ্রীয় সংস্থার রিপোর্টই বলছে ভারতের অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গে এই সমস্যা অনেকটাই কম। স্নাতক হয়ে বেকার, এমন বেকারত্বের হার সবচেয়ে কম গুজরাতে। তারপরই দ্বিতীয় স্থানে পশ্চিমবঙ্গ।

   

কর্মসংস্থান ও বেকারত্ব নিয়ে প্রতি বছরই সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশ করে পরিসংখ্যান মন্ত্রকের অধীনস্থ national sample সার্ভে অফিস বা এনএসএসও। ২০২২ সালের জুলাই মাস থেকে ২০২৩-এর জুন মাসেই এক বছরের রিপোর্টে ভারতে স্নাতক বেকারের হার ১৩.৪ শতাংশ। যেখানে পশ্চিমবঙ্গে ৭.৩ শতাংশ যা দেশের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন। স্নাতকোত্তর বেকারের হারের তালিকাতে ও ভাল জায়গায় রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ।

বাংলা স্নাতকোত্তর হয়েও বেকারের হার ৮.৮%। ভারতে মাধ্যমিক পাস বেকারের হার ২.২%। যেখানে পশ্চিমবঙ্গের হার ১.৮%। কেন্দ্রের রিপোর্টে একের পর এক ক্যাটাগরিতে বাংলার স্বীকৃতি আশা নিয়ে অর্থনীতিবিদ অভিরূপ সরকার বলেন “এখানে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প অনেক বেশি। অনেকেরই তাতে কর্মসংস্থান হয়। এই রিপোর্টের গুরুত্ব অপরিসীম।”

Advertisements

যদিও একাংশের মতে, তুলনামূলকভাবে কম বেতনে বাংলায় কর্মী পাওয়া যায় কারণ এ রাজ্যে এখনও থাকা খাওয়ার খরচ দেশের অন্যান্য অনেক রাজ্যের তুলনায় কম। সেই কারণে বেকারত্বের হার অনেকটাই কম বলে দাবি একাংশের।

এ প্রসঙ্গে অর্থনীতিবিদ অভিরূপ সরকার বলেন “পশ্চিমবঙ্গে কম বেতনেও বেঁচে থাকা যায়। অনেকেই হয়তো কম বেতনে চাকরি করছেন স্নাতকদের মধ্যে। কিন্তু যেহেতু এখানে বেঁচে থাকার খরচ কম, তাই তাঁরা চালিয়ে নিচ্ছেন।” কেন্দ্রের রিপোর্টে বাংলাকে স্বীকৃতি দেওয়া হল। বেকারত্বের সর্বনিম্ন হারের নিরিখে দেশের মধ্যে দ্বিতীয় বাংলা।