রাজ্যের স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) মাধ্যমে শিক্ষকদের নিয়োগ প্রক্রিয়া দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। বিশেষত, SLST-2 (State Level Selection Test-2) নিয়ে বহু চাকরিপ্রার্থীর প্রত্যাশা ও উদ্বেগ—দুই-ই চরমে পৌঁছেছে। এমন পরিস্থিতিতে সোমবার বিকাশ ভবনে এক গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তাঁর কথায়, নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হলে পরিস্থিতি বিবেচনা করে শূন্যপদ বাড়ানোর সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হোক। আমার সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর শূন্যপদ তৈরি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু যতক্ষণ না পুরো প্রক্রিয়া শেষ হচ্ছে, এই নিয়ে আইনি ভাবে কোনও কথা আমি বলব বা বলতে পারি না। মূলত যোগ্যদের জন্যই কথা হচ্ছে। মন্ত্রিসভায় নিশ্চয়ই বিবেচনা করে দেখা হবে।” তাঁর এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে নতুন করে আশার সঞ্চার হয়েছে যে, SLST-2 এর শূন্যপদের সংখ্যা বাড়ানো সম্ভব হতে পারে।
সম্প্রতি একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির ফলাফল প্রকাশের পর SLST-2-এর ইন্টারভিউয়ের প্যানেল প্রকাশিত হয়। প্যানেল প্রকাশ হতেই বহু প্রার্থী অভিযোগ করেন যে, শূন্যপদের সংখ্যা বাস্তব পরিস্থিতির তুলনায় অনেক কম। অনেকের দাবি, রাজ্যের উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে বিপুল সংখ্যক শিক্ষকসংকট ইতিমধ্যেই রয়েছে, ফলে শূন্যপদ বাড়ানোই সমস্যার স্থায়ী সমাধান।
যাঁরা এ বছর প্রথমবার SSC পরীক্ষায় বসেছেন, তাঁদেরাও প্রায় একই দাবি তুলছেন। তাঁদের বক্তব্য, “যে সংখ্যক পদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছিল, তার চেয়ে বাস্তবে বহু বেশি শূন্যপদ রয়েছে। তাই শূন্যপদ বাড়ানো হোক।” ইন্টারভিউ তালিকায় নাম থাকলেও পদসংখ্যা কম থাকায় অনেকেই নিয়োগে অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন।
এসব মিলিয়ে বাস্তবিক শূন্যপদের সংখ্যা সরকারি বিজ্ঞপ্তির তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি—এমনটাই দাবি চাকরিপ্রার্থীদের একটি বড় অংশের। তাই নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর যদি সরকার শূন্যপদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে বহু যোগ্য প্রার্থী সুযোগ পেতে পারেন।


