কলকাতা: ভাইফোঁটা (Bhai Phonta 2025) মানেই আনন্দ, মিষ্টি হাসি আর রসনাতৃপ্তি। ভাইয়ের দীর্ঘায়ু ও মঙ্গলের কামনায় দিদি-বোনেরা স্নেহের ফোঁটা দিয়ে সাজিয়ে তোলেন উৎসবের পাতে পঞ্চব্যাঞ্জন। কিন্তু এ বছর ভাইফোঁটার আগেই বাজারে দেখা দিয়েছে আগুনের ছোঁয়া। আলু থেকে মাছ, সব কিছুর দাম বেড়ে ক্রেতাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে।
কলকাতার বিভিন্ন বাজার যেমন গড়িয়াহাট, মানিকতলা, লেক মার্কেট ও নিউ আলিপুর—সব জায়গাতেই সবজির দাম চড়া। নতুন আলু বিকোচ্ছে কেজিপ্রতি ৪০ টাকায়, পেঁয়াজ ৩০ টাকায়। বেগুন ৮০ থেকে ১০০ টাকায়, পটল ৫০-৬০ টাকায়, ফুলকপি ৩০-৮০ টাকায় পিসপ্রতি বিক্রি হচ্ছে। বাধাকপি ৫০ টাকা কেজি, ভেন্ডি ৬০ টাকা, টমেটো ৫০ টাকা, ঝিঙ্গা ৫০-৬০ টাকা কেজিতে পাওয়া যাচ্ছে।
সবজি বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, “পরিবহণ খরচ, পাইকারি বাজারে সরবরাহের ঘাটতি ও উৎসবের আগে অতিরিক্ত চাহিদা—সব মিলিয়ে দাম বাড়ছে প্রতিদিনই।”
আপেল ১২০ টাকা কেজি, কলা ডজনপ্রতি ৬০ টাকা, পেয়ারা ৮০ টাকা, শশা ৬০ টাকা, বাতাবি লেবু ৩০ টাকা, মৌসম্বি ১০ টাকা, তরমুজ ৪০ টাকা এবং নাশপাতি ১২০ টাকা কেজিতে বিকোচ্ছে। দোকানদারদের দাবি, ভাইফোঁটার আগে ফলের বিক্রি বাড়ছে, দামও তার সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে।
উৎসব মানেই জমজমাট খাওয়া-দাওয়া, আর সেই খাওয়ায় মাছ-মাংসের জায়গা অপরিহার্য। কিন্তু এবার দাম দেখে অনেকেরই রুচি নষ্ট হওয়ার জোগাড়। খাসির মাংস ৯০০ টাকা কেজি, মুরগির মাংস ২২০ টাকা কেজি, কাতলা মাছ ৪০০ টাকা, পাবদা ৫০০ টাকা, ভেটকি ৭০০ টাকা, বাগদা চিংড়ি ৮০০ টাকা এবং গলদা চিংড়ি একেবারে ১৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পমফ্রেটও ৭০০ টাকা কেজিতে মিলছে।
মাছ বিক্রেতাদের দাবি, “ভাইফোঁটার আগে মাছের চাহিদা অনেক বেড়ে যায়। হাওয়া, পরিবহণ আর সরবরাহের সমস্যার কারণে দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে।” কলকাতার বাজারে সকাল থেকেই লম্বা ভিড়। ক্রেতারা বলছেন, “দাম বাড়লেও ভাইফোঁটার দিন ভাইকে ভালো খাওয়াতেই হবে। উৎসবের আনন্দের কাছে দাম কোনও বাধা নয়।”