HomeWest BengalKolkata Cityমাথা খুঁড়েও গরহাজির অভিষেক! এক পংক্তিতে মমতার 'খুব' প্রিয় তিন, কীসের বার্তা

মাথা খুঁড়েও গরহাজির অভিষেক! এক পংক্তিতে মমতার ‘খুব’ প্রিয় তিন, কীসের বার্তা

- Advertisement -

সপ্তম দফার প্রচার শেষ হয়েছে গত বৃহস্পতিবার! আগামীকাল লোকসভা ভোটের শেষ দফা। আর সেই শেষ দফার আগেই ঘাসফুলের অন্দরে ঘুরপাক পাচ্ছে কয়েকটি প্রশ্ন। এই মুহূর্তে ঘাসফুল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরেই শেষ কথা বলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিই এখন সর্বভারতীয় সভাপতি। আর সেই সভাপতি ভোটের আগে থেকেই প্রতিটি লোকসভা কেন্দ্রের প্রচারে গিয়েছেন। কিন্তু বাদ গিয়েছে তিনটি। দমদম লোকসভা কেন্দ্র, উত্তর কলকাতা এবং শ্রীরামপুর কেন্দ্রে তাঁর পায়ের ছাপ পড়েনি। করেননি কোনও মিটিং বা জনসভা। আর এইখানেই উঠছে প্রশ্ন! অভিষেক কি তবে ইচ্ছে করে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন নাকি তলে তলে চলছে অন্য সমীকরণ?

প্রসঙ্গত শ্রীরামপুরে লোকসভা ভোট হয়ে গিয়েছে পঞ্চম দফার ভোটে। সেই কেন্দ্রের প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারে যাননি অভিষেক। অন্যদিকে দমদমের প্রার্থী সৌগত রায়ের প্রচারেও অমিল ছিলেন তৃণমূলের যুবরাজ। আবার উত্তর কলকাতার বর্ষীয়ান নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্যও তিনি করেননি কোনও পথসভা বা মিটিং। দলের অন্দরে কান পাতলে শোনা যায়, এই তিনজন প্রার্থীর সঙ্গে দূরত্ব রয়েছে অভিষেকের।

   

ইসবার ৫০০ পার! ভোট গণনার আগেই বাজিমাত তৃণমূলের, বামেরা সেই শূন্যই

তৃণমূলে যখন নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্ব তুঙ্গে, তখন যে সব কেন্দ্র এবং সাংসদকে নিয়ে বিস্তর আলোচনা ছিল, তার মধ্যে শ্রীরামপুর, উত্তর কলকাতা এবং দমদম ছিল অন্যতম। কল্যাণ, সুদীপ, সৌগতের সঙ্গে দলের অভ্যন্তরে অভিষেকের রসায়ন নিয়ে কম আলোচনা নেই। অভিষেক যখন প্রকাশ্যে রাজনীতিতে অবসরের বয়স নির্দিষ্ট করার পক্ষে সওয়াল করছেন, তখন দেখা গিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, মনের বয়সটাই আসল। গত নভেম্বরে সে কথা বলতে গিয়ে ‘দিদি’ উদাহরণ দিয়েছিলেন সৌগতের। তবে সংবাদমাধ্যক তিনি বলেছেন, অভিষেকের সঙ্গে আমার ফোনে কথা হয়েছে। ও আমায় বলেছে, নিজের কেন্দ্রের প্রচারে ব্যস্ত থাকবে। তাই দমদমে আসতে পারবে না।

তবে বাকি দুই প্রার্থীর সঙ্গে বিশেষ একটা সুখ্যাতি নেই যুবরাজের। ঘাসফুলের অন্দরে শোনা যায় যে অভিষেক লবির নেতা নয় বলেই একটা অলিখিত দূরত্ব রয়েছে ঘাসফুলে মমতার কাছের নেতাদের। তবে অন্য একটি সূত্রের মতে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজের কেন্দ্রে প্রচারে ব্যস্ত ছিলেন তাই আর তিনি সময় বের করতে পারেননি। কোনটা সত্যি আর কোনটা মিথ্যে সেই হদিশ না করতে যাওয়াটা বুদ্ধিমানের কাজ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

- Advertisement -
এই সংক্রান্ত আরও খবর
- Advertisment -

Most Popular