কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য শহরে শীতের ঢেউ এখনও স্থিত হয়নি। রবিবার সকালে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা (Weather Report) ছিল স্বাভাবিকের তুলনায় মাত্র ০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি, যা প্রমাণ করছে শীত এখনও পুরোপুরি উঁকি দিতে পারছে না। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, আগামী তিন থেকে চার দিনে রাজ্যে কুয়াশার পরিমাণ বাড়তে পারে, যদিও দিনের বেলায় দৃশ্যমানতা ধীরে ধীরে উন্নত হবে।
দক্ষিণ আন্দামান সাগরে একটি সুস্পষ্ট নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে, যা স্থানীয়ভাবে বিশেষভাবে নজরকাড়া হলেও বাংলার উপর এর সরাসরি প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। অর্থাৎ, ঝড় বা প্রবল বৃষ্টিপাতের কোনো শঙ্কা নেই। তবে এই নিম্নচাপ এবং শীতল বাতাসের অনুপস্থিতি মিলিয়ে রাজ্যের আকাশ এখনও কুয়াশায় ঢাকা রয়েছে।
সকালের দিকে ঘন কুয়াশার কারণে শহরের রাস্তাঘাট এবং প্রধান সড়কগুলোতে **দৃশ্যমানতা কম** দেখা যাচ্ছে। এই কারণে যানবাহন চালকরা সতর্ক থাকার পরামর্শ পেয়েছেন। বিশেষ করে সকাল ও সন্ধ্যার সময় ঘন কুয়াশার সঙ্গে হালকা শীতের সংমিশ্রণ থাকায় যান চলাচলে কিছুটা অসুবিধা সৃষ্টি হচ্ছে। আবহাওয়াবিদদের মতে, শীতের ঢেউ স্থায়ীভাবে ফিরে আসতে কিছুটা সময় লাগবে। কলকাতা সহ পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের শহরগুলোতে দিনের বেলায় সূর্যের আলো দেখা গেলেও রাত এবং ভোরের তাপমাত্রা এখনও তুলনামূলকভাবে কম। তবে দিনের বেলায় দৃশ্যমানতার উন্নতি আশা করা যাচ্ছে, যা সাধারণ নাগরিকদের দৈনন্দিন জীবনকে স্বাভাবিক রাখবে।
শীতের তীব্রতা কমে যাওয়া সত্ত্বেও কুয়াশা এখনও রাজ্যের প্রাকৃতিক দৃশ্যকে ঢেকে রেখেছে। সকালবেলায় স্কুল-কলেজ, অফিসে যাতায়াতকারী মানুষদের জন্য কিছুটা অসুবিধা তৈরি হলেও দিনের বেলায় কুয়াশা কিছুটা সরবে বলে জানানো হয়েছে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, কুয়াশা মূলত উচ্চ আর্দ্রতা এবং তাপমাত্রার হ্রাসের কারণে তৈরি হচ্ছে।
পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলে গত কয়েকদিনে কুয়াশা ও আর্দ্রতার মাত্রা কিছুটা বেড়েছে। ফলে সকালবেলার সময় ধীরে ধীরে শীত অনুভূতি কমছে, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে আবহাওয়ার এই পরিবর্তন নগরবাসীর জন্য কিছুটা বিপত্তিকর। বিশেষ করে রাস্তায় গাড়ি চালকদের জন্য কুয়াশার মধ্যে সীমিত দৃশ্যমানতা একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
আবহাওয়া দপ্তর আরও জানিয়েছে, আগামী কয়েকদিনে পশ্চিমবঙ্গের শহরগুলোতে আর্দ্রতা ও তাপমাত্রার সামান্য ওঠানামা হতে পারে। তবে কোন প্রকার ভারী বৃষ্টিপাত বা ঝড়ের সম্ভাবনা নেই। দক্ষিণ আন্দামান সাগরে থাকা নিম্নচাপের সরাসরি প্রভাব না পড়লেও সামান্য আংশিক মেঘাচ্ছন্নতা এবং কুয়াশার ঘনত্ব বেড়ে যেতে পারে।
