কলকাতা: উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ নতুন প্রযুক্তি গ্রহণ করে পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন প্রক্রিয়ায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই (AI) প্রযুক্তি ব্যবহার করতে যাচ্ছে। নতুন এই প্রযুক্তি শিক্ষার্থীদের খাতা যাচাই প্রক্রিয়াকে আরও দ্রুত, নির্ভুল এবং স্বচ্ছ করবে।
সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জানান, “এখন থেকে ওএমআর ফর্ম পূরণ থেকে শুরু করে সঠিক উত্তর চিহ্নিত করা পর্যন্ত প্রতিটি খাতায় এআই ব্যবহার করা হবে। এতে খাতার ছোটখাটো ভুল বা অসঙ্গতি থাকলেও তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে শনাক্ত হবে এবং যথাযথ নম্বর প্রদানে সহায়তা করবে। ফলে শিক্ষার্থীদের অপ্রয়োজনীয় উদ্বেগ কমবে।”
এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে খাতার প্রতিটি অপশন, কালির চাপ, সঠিক উত্তর এবং নম্বর বণ্টন বিশ্লেষণ করা হবে। রোল নম্বর বা রেজিস্ট্রেশন নম্বরে ছোটখাটো ত্রুটিও শনাক্ত করা যাবে। আগে এই ধরনের ত্রুটির কারণে অনেক শিক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল হতো, কিন্তু এবার সেই ঝুঁকি দূর হবে।
উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ সূত্র জানিয়েছে, এআই খাতা যাচাই প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা বৃদ্ধি করবে এবং ফলাফল প্রকাশ আরও দ্রুত সম্ভব হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই প্রযুক্তি কেবল খাতা মূল্যায়নকে সহজ করবে না, বরং শিক্ষার্থীদের আস্থা বাড়াবে।
কলকাতার এক উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী বলেন, “আগে ছোটখাটো ভুলের কারণে খাতা বাতিল হতো। এবার এআই প্রযুক্তি থাকায় আমরা আরও আত্মবিশ্বাসী বোধ করছি। এটি আমাদের ভবিষ্যতের প্রতি আশার আলো দিচ্ছে।”
চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য আরও জানান, “আমরা চাই প্রতিটি শিক্ষার্থী সঠিকভাবে মূল্যায়িত হোক। এআই প্রযুক্তি সেই লক্ষ্য পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”
এআই প্রযুক্তির প্রয়োগ শিক্ষকদের কাজও সহজ করবে। খাতা যাচাই ও নম্বর প্রদানের ক্ষেত্রে মানুষের ত্রুটি কমে যাবে। এর ফলে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নিরাপদ থাকবে এবং খাতা মূল্যায়ন প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও নির্ভুলতা বৃদ্ধি পাবে।
উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের এই সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্বস্তি ও আশার আলো ফেলেছে। বিশেষ করে তারা যারা আগে ছোটখাটো ভুল বা অসঙ্গতির কারণে উদ্বিগ্ন থাকতেন, তাদের জন্য এটি বড় সুবিধা। নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে পরীক্ষা মূল্যায়নের প্রক্রিয়া আরও দক্ষ, নির্ভুল ও দ্রুত হবে।