ইস্ট জিওর্জিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি নিয়ে বিতর্ক আছে। তা নিয়ে কম কটাক্ষ করে না বাম-বিজেপি। এবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) ডিগ্রি নিয়ে প্রশ্ন তুললেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay)। তমলুকের বিজেপি সাংসদের দাবি, বেআইনি কলেজ থেকে ডিগ্রি জোগাড় করেছেন ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ।
ঘটনার সূত্রপাত পানিহাটির রহস্যমৃত্যু ঘিরে। গত মঙ্গলবার পানিহাটিতে প্রদীপ কর নামের একজনের দেহ উদ্ধার হয়। তৃণমূল এবং মৃতের পরিবারের দাবি ভোটাধিকার হারানোর ভয়ে তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন। বুধবার পানিহাটি গিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) বলেন, “এসআইআর-এনআরসি আতঙ্কে আত্মহত্যা করেছেন ৫৭ বছর বয়সী প্রদীপ কর।”
নির্বাচন কমিশন এবং বিজেপিকেও নিশানা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তিনি বলেন, ‘‘জ্ঞানেশ কুমারের (জাতীয় নির্বাচন কমিশনার) বাবার নাম আছে ভোটার লিস্টে? দেখাতে পারবেন? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সার্টিফিকেটদেখাতে পারবেন? শিক্ষামন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী দেখাতে পারবেন বাবা-ঠাকুর্দার জন্মের সার্টিফিকেট?’’
অভিষেক আরও বলেন, ‘‘বিজেপির লোকেরা এখানে এলে বাবা-ঠাকুর্দার সার্টিফিকেট চাইবেন। না দিতে পারলে বেঁধে রাখবেন। গায়ে হাত তুলবেন না। আমরা কারও গায়ে হাত তোলায় বিশ্বাস করি না। বলবেন বাবা-ঠাকুর্দা-দিদিমার সার্টিফিকেট নিয়ে আয়। তার পরে ছাড়বেন।’’
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার মুখ খোলেন পদ্ম সাংসদ। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) সম্পর্কে তমলুকের বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay) বলেন, “ছাগল একটা। লেখাপড়া জানে না। বেআইনি কলেজ থেকে পাস করেছে। বোকার মতো কথা বলে। যে লোকটাকে গাছে বেঁধে রাখবে সে কীভাবে সার্টিফিকেট নিয়ে আসতে যাবে? যে লোকটাকে আপনি গাছে বা ল্যাম্পপোস্টে বাঁধবেন সে যাবে কীকরে?” একই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, “উনি যে ডিগ্রির কথা বলে থাকেন, সেই ডিগ্রি একটা বেআইনি কলেজ থেকে জোগাড় করেছেন। সুপ্রিম কোর্ট সেই কলেজটিকে বেআইনি ঘোষণা করেছে। উনি যখন ডিগ্রি পেয়েছেন তখন কলেজটি বেআইনি ছিল। সব তথ্য প্রমাণ দেখাতে পারব। উনি একটা চোর, জোচ্চর।”
উইকিপিডিয়ার তথ্য অনুসারে, দিল্লির ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ প্ল্যানিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট থেকে এমবিএ করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০০৮ সাল থেকে ২০১৪ পর্যন্ত এই সংস্থাটি নানা বিতর্কে জড়ায়। ভুয়ো প্রচার ও প্রতারণার অভিযোগ ওঠে। দিল্লি হাইকোর্ট ঘোষণা করে যে আইআইপিএমের ইউজি বা পিজি কোর্সের স্বীকৃতি নেই। ২০১৫ সালে ইউজিসি ও এআইটিসিই-র মতো সংস্থা আইআইপিএমের স্বীকৃতি বাতিল করে। প্রতারণার অভিযোগে ২০২০ সালে সংস্থার কর্তা অরিন্দম চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হয়।



