কলকাতা: তমলুকের নার্সিংহোমে প্যাথলজি চেক-আপে গিয়ে আলাপ, সেখান থেকেই প্রেম ও পরিণয়। কিন্তু স্বামীর দূরভিসন্ধি সম্পর্কে বিন্দুমাত্র ধারণা ছিল না পূর্ব মেদিনীপুরের বেতকুন্ডুর দেবযানীর। ২০২২ সালে দেবযানীর সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন নন্দকুমারের কার্ত্তিক চক্রবর্তী।
সম্প্রতি কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ১১ লক্ষ টাকায় স্ত্রীয়ের কিডনি বিক্রি করতে গিয়ে ধরা পড়েছেন কার্ত্তিক। পুলিশ সূত্রে খবর, প্যাথল্যাবের ব্যাবসা আছে কার্ত্তিকের। অভিযোগ, ১১ লক্ষ টাকার বিনিময়ে স্ত্রীয়ের কিডনি বিক্রির চুক্তি করেন কার্ত্তিক। এই চুক্তিতে জড়িত একজন মধ্যস্থতাকারীর কাছ থেকে ইতিমধ্যেই ১.৫ লক্ষ টাকার অগ্রিম পেয়েছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, “কার্ত্তিক সহ এই মামলার সঙ্গে জড়িত মত ৪ জনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।” শহরের একটি নামকরা হাসপাতালে কিডনি পরিস্থাপনের কাজ প্রায় শুরু হয়ে গেছিল বলে অভিযোগ করেন দেবযানী। তবে কিডনি ক্রয় এবং প্রতিস্থাপনের এটি কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা না কি শহরের নামীদামী বেসরকারি হাসপাতালে কিডনি পচারচক্র জড়িত, ক্ষতিয়ে দেখছে পুলিশ।
স্বামীর কিডনি বিক্রি করে প্রেমিকের সঙ্গে চম্পট দেয় স্ত্রী
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেই হাওড়ার সাঁকরাইলে এরকমই একটি ঘটনা ঘটে। তবে সেবার স্বামীকে ভুল বুঝিয়ে কিডনি বিক্রি করে সেই টাকা ও গয়না নিয়ে প্রেমিকের সাথে পালিয়েছিল মহিলা। ঘটনায় প্রতারিত স্বামী পিন্টউ বাজ থানায় স্ত্রীয়ের নামে নিখোঁজ ডায়েরি করেন।
পরে হাই কোর্টে হেবিয়াস কর্পাস মামলা করেন। ওই মহিলা প্রেমিককে ছেড়ে ফিরে আসতে নাকচ করে। এরপর গয়না ও টাকা ফেরত পেতে স্ত্রী ও তার প্রেমিকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছিলেন প্রতারিত স্বামী পিন্টু বাজ।


