কাঁচা লঙ্কা ২০০-বেগুন ১০০ টাকা! সবজির দাম আকাশছোঁয়া, কেন এই অবস্থা?

কলকাতা: কলকাতা ও আশপাশের এলাকায় টানা বৃষ্টিতে কিছুটা স্বস্তি মিলেছে গরম থেকে, কিন্তু বাজারে পা দিলেই পকেটে লাগছে ছ্যাঁকা। সবজি, মাছ, মুরগির মাংস সবকিছুর দাম…

Kolkata Vegetable Price Hike

কলকাতা: কলকাতা ও আশপাশের এলাকায় টানা বৃষ্টিতে কিছুটা স্বস্তি মিলেছে গরম থেকে, কিন্তু বাজারে পা দিলেই পকেটে লাগছে ছ্যাঁকা। সবজি, মাছ, মুরগির মাংস সবকিছুর দাম হঠাৎ বেড়ে এক লাফে পৌঁছে গেছে নাগালের বাইরে। সাধারণ মানুষের নিত্যরান্নার বাজেট যেন এক ধাক্কায় ওলোটপালোট।

বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ সবজির দামই কেজিপিছু ৬০ থেকে ১০০ টাকার ঘরে। সবচেয়ে বেশি শক দিয়েছেন কাঁচা লঙ্কা৷ মাত্র দু’দিন আগেও যা ছিল ১২০-১৪০ টাকা, এখন তা বিকোচ্ছে ২০০ টাকায়!
বেগুনের দাম ৯০-১০০ টাকা, টমেটো ৮০-১০০ টাকা, করলা-ঝিঙে-ঢ্যাঁড়শও ৬০-৮০ টাকার মধ্যে।
একমাত্র আলুই এখন কিছুটা ‘সহজে পাওয়া’ যাচ্ছে৷ কেজি প্রতি ২০ টাকায় বিকোচ্ছে এখনও।

   

কেন এই হঠাৎ দামবৃদ্ধি?

বিক্রেতাদের দাবি, টানা বৃষ্টিতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সবজির জমিতে জল জমে নষ্ট হয়ে গিয়েছে প্রচুর ফসল। পাশাপাশি, টানা বৃষ্টির কারণে সরবরাহও মার খেয়েছে।
বিশেষ করে কাঁচা লঙ্কার ক্ষেত্রে সমস্যা আরও তীব্র স্থানীয় চাষিরাই মূলত জোগান দিতেন, কিন্তু বৃষ্টিতে সেই সরবরাহ প্রায় বন্ধ। বেলডাঙার মতো বড় সরবরাহ কেন্দ্র থেকেও এখন আর লঙ্কা আসছে না।
বাইরের রাজ্য থেকে লঙ্কা এলে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতে পারে, তবে বিক্রেতাদের মতে, তার আগে অন্তত এক মাস এই চড়া দাম বজায় থাকতে পারে।

প্রশাসন নামছে মাঠে Kolkata Vegetable Price Hike

সবজির এই লাগামছাড়া দাম নিয়ে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ তুঙ্গে। দিন আনি দিন খাওয়া মানুষজন পড়েছেন সবচেয়ে বড় বিপদে। তাই এবার পরিস্থিতি সামাল দিতে নামছে প্রশাসন।

শুক্রবার থেকে শহরের বিভিন্ন বাজারে শুরু হচ্ছে সরকারের টাস্ক ফোর্সের তদারকি। কোলে মার্কেট, তারাতলা হোলসেল মার্কেট ও উল্টোডাঙা বাজারে পরিদর্শনে যাবেন টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা।

Advertisements

রবীন্দ্রনাথ কোলে জানিয়েছেন, “বৃষ্টির কারণে সবজি নষ্ট হয়েছে, জোগান কমেছে তাই দাম বাড়ছে। তবে কেউ যদি ইচ্ছাকৃতভাবে বেশি মুনাফা করতে চায়, তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

সামনে কী হতে পারে?

ব্যবসায়ী ও প্রশাসনের মতে, যতদিন না আবহাওয়া স্বাভাবিক হচ্ছে, ততদিন সবজির সরবরাহ ও দাম স্বাভাবিক হওয়ার আশা কম। অন্তত আরও ২-৩ সপ্তাহ বাজারে তেমন কোনও উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।

তবে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ও বাজারে নজরদারির জোরে কিছুটা হলেও দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে- এই আশায় বুক বেঁধেছেন সাধারণ মানুষ।