কলকাতা: দুর্গাপুরের নৃশংস ধর্ষণকাণ্ডে দেশজুড়ে ক্ষোভের ঢেউ এখনো স্তিমিত হয়নি। এরই মধ্যে ফের শিউরে উঠল রাজ্য৷ এবার অকুস্থল রাজধানী কলকাতা। এক বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়াকে ধর্ষণ করল তাঁরই সহপাঠী। অভিযুক্তকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ কলকাতার আনন্দপুর এলাকায়।
অভিযুক্ত গ্রেফতার
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা ও অভিযুক্ত দু’জনেই একই কলেজের ছাত্রছাত্রী। অভিযোগ, অভিযুক্ত ছাত্র ছক কষে নির্যাতিতাকে ডেকে আনে এবং তাঁকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে। নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে আনন্দপুর থানার পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। ইতিমধ্যেই নির্যাতিতার মেডিক্যাল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে, এবং প্রাথমিক রিপোর্টে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
শরীর ও যৌনাঙ্গে একাধিক আঘাতের চিহ্ন Kolkata Student Rape Case
এই ঘটনা রাজ্যের জনমনে নতুন করে আতঙ্ক ও ক্ষোভের সঞ্চার করেছে৷ দুর্গাপুরের মেডিক্যাল কলেজ পড়ুয়া তরুণীর ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা মামলায় রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদের আগুন জ্বলছে। সেই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে নির্যাতিতার এক পুরুষ বন্ধু— যিনি ঘটনার দিন তাঁকে বাইরে নিয়ে গিয়েছিলেন। নির্যাতিতার বাবার অভিযোগ, তাঁর মেয়েকে ফাঁদে ফেলতেই ওই যুবক তাকে কলেজ চত্বরের বাইরে নিয়ে যায়। মেডিক্যাল রিপোর্টে নিশ্চিত হয়েছে যে, নির্যাতিতা যৌন হেনস্থার শিকার হয়েছেন; তাঁর শরীর ও যৌনাঙ্গে একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে ক্ষোভ
এই ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-এর মন্তব্য ঘিরে তীব্র বিতর্ক ছড়িয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “রাতের বেলা মেয়েটি কেন বাইরে গিয়েছিল?” যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে নির্যাতিতার পরিবার ও রাজনৈতিক বিরোধীরা। বিজেপি নেতারা দাবি করেছেন, ঘটনার সময় ছিল রাত সাড়ে আটটা থেকে সাড়ে নয়টার মধ্যে, মধ্যরাত নয়, তাই মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য অত্যন্ত অনভিপ্রেত।