কসবার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এবার কলকাতা পুলিশের (Kolkata-Police) এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট প্রকাশ্যে এসেছে । সেখানে বলা হয়েছে কলকাতায় সম্প্রতি একটি ধর্ষণের ঘটনায় কলকাতা পুলিশের দ্রুত পদক্ষেপ রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থায় একটি উল্লেখযোগ্য নজির স্থাপন করেছে। ঘটনার ১২ ঘণ্টার মধ্যে এফআইআর-এ নাম থাকা তিনজন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এছাড়াও, প্রমাণের ভিত্তিতে আরও একজন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে(Kolkata-Police) । ভুক্তভোগী এবং অভিযুক্তদের মেডিকোলিগ্যাল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে এবং ঘটনাস্থলের ফরেনসিক পরীক্ষাও সম্পন্ন করা হয়েছে। এই তদন্ত একটি বিশেষ তদন্ত দল (এসআইটি) দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে, যা ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের কঠোর তত্ত্বাবধানে কাজ করছে।
কলকাতা পুলিশ (Kolkata-Police) জানিয়েছে, তারা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যে এই জঘন্য অপরাধের দোষীদের কঠোরতম আইনি শাস্তির মুখোমুখি করা হবে এবং ভুক্তভোগী দ্রুততম সময়ে ন্যায়বিচার পাবেন। ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে তিনজন অভিযুক্তের নাম উল্লেখ করা হয়েছিল, যাদের দ্রুত শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হয়।
তদন্তের অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে ফরেনসিক প্রমাণ এবং অন্যান্য তথ্যের ভিত্তিতে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্তদের মধ্যে একজনের বিরুদ্ধে পূর্বেও অপরাধমূলক কার্যকলাপের অভিযোগ ছিল। প্রসঙ্গত মূল অভিযুক্ত মনোজিৎকে এর আগেও গ্রেফতার করা হলেও একদিনের মধ্যে তাকে জামিনে ছেড়ে দেওয়া হয়।
কলকাতা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (দক্ষিণ) জানিয়েছেন, “আমরা এই মামলায় শূন্য সহিষ্ণুতার নীতি অবলম্বন করেছি (Kolkata-Police)। ঘটনার পর থেকে আমাদের দল নিরলসভাবে কাজ করছে। ভুক্তভোগীর স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার প্রতি আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি।” তিনি আরও জানান, ভুক্তভোগীকে মেডিকোলিগ্যাল পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং তাঁর চিকিৎসা ও মানসিক সহায়তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
অভিযুক্তদেরও (Kolkata-Police) মেডিকোলিগ্যাল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে, যা তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হিসেবে কাজ করবে। বিরোধী শিবির এবং রাজনৈতিক মহলের একাংশের প্রশ্ন শূন্য সহিষ্ণুতা প্রশ্নই যদি ওঠে তবে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং দলকে ঘটনাস্থলে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না কেন।
ঘটনাস্থলের ফরেনসিক পরীক্ষায় উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। ফরেনসিক দল ঘটনাস্থল থেকে ডিএনএ নমুনা, আঙুলের ছাপ এবং অন্যান্য প্রমাণ সংগ্রহ করেছে (Kolkata-Police) । এই প্রমাণগুলি তদন্তকে আরও শক্তিশালী করবে বলে পুলিশের আশা। বিশেষ তদন্ত দলের প্রধান, একজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা, জানিয়েছেন, “আমরা প্রতিটি সম্ভাব্য কোণ থেকে তদন্ত করছি। কোনো প্রমাণ উপেক্ষা করা হচ্ছে না। আমাদের লক্ষ্য হল অপরাধীদের বিরুদ্ধে এমন একটি মামলা তৈরি করা, যা আদালতে অকাট্য হবে।”
এই ঘটনা রাজ্যের রাজনৈতিক মহলেও আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। তৃণমূল কংগ্রেসের একজন মুখপাত্র বলেন, “কলকাতা পুলিশের এই তৎপরতা প্রমাণ করে যে রাজ্য সরকার নারী নিরাপত্তার প্রতি কতটা সচেতন। আমরা ভুক্তভোগীর পাশে আছি এবং নিশ্চিত করব যে দোষীদের কঠোর শাস্তি হয়।”
অন্যদিকে, বিরোধী দল বিজেপি এই ঘটনাকে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির প্রমাণ হিসেবে উল্লেখ করেছে। বিজেপির এক নেতা বলেন, “এই ধরনের ঘটনা বারবার ঘটছে(Kolkata-Police) । পুলিশের দ্রুত পদক্ষেপ সত্ত্বেও, রাজ্যে নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।” সামাজিক মাধ্যমেও এই ঘটনা নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেকে কলকাতা পুলিশের দ্রুত পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন, আবার কেউ কেউ এই ধরনের অপরাধের পুনরাবৃত্তি রোধে আরও কঠোর পদক্ষেপের দাবি তুলেছেন।
একজন সামাজিক কর্মী বলেন, “পুলিশের তৎপরতা প্রশংসনীয়, কিন্তু আমাদের সমাজে নারীদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে। শিক্ষা ও সচেতনতার মাধ্যমে এই ধরনের অপরাধ কমানো সম্ভব।” কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভুক্তভোগীর পরিচয় গোপন রাখা হচ্ছে এবং তাঁর নিরাপত্তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
মহারাষ্ট্রে হিন্দি ভাষা বিতর্কে উদ্ধব কে মিথ্যাচারী বলে কটাক্ষ রাম কদমের
পুলিশ আরও জানিয়েছে, তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে নিয়মিত আপডেট দেওয়া হবে। এই ঘটনা রাজ্যে নারী নিরাপত্তার প্রশ্নকে আবারও সামনে এনেছে। সম্প্রতি সন্দেশখালি (Kolkata-Police) এবং অন্যান্য এলাকায় ঘটে যাওয়া ধর্ষণের ঘটনাগুলির প্রেক্ষাপটে এই মামলা আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বিশেষ তদন্ত দলের এক সদস্য জানান, “আমরা সাক্ষীদের বয়ান সংগ্রহ করছি এবং সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করছি।
আমাদের লক্ষ্য হল তদন্ত দ্রুত শেষ করে আদালতে মামলা দায়ের করা।” পুলিশের এই প্রতিশ্রুতি ভুক্তভোগী এবং তাঁর পরিবারের জন্য আশার আলো হয়ে উঠেছে। এই ঘটনার তদন্ত কীভাবে এগোয় এবং অভিযুক্তদের শাস্তি নিশ্চিত করতে পুলিশ কতটা সফল হয়,(Kolkata-Police) তা আগামী দিনে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থার উপর গভীর প্রভাব ফেলবে। কলকাতা পুলিশের এই তৎপরতা অন্যান্য সংস্থার জন্যও একটি উদাহরণ হয়ে থাকবে।