কলকাতা: সল্টলেকের এ কে ব্লকে প্রকাশ্য রাস্তায় পুলিশি হেনস্থার গুরুতর অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য। অভিযোগ উঠেছে, বিধাননগর থানার পুলিশকর্মীরা মারধর করেছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি রণেন্দ্র নারায়ণ রায়ের ছেলে তথা প্রবীণ আইনজীবী মনুজেন্দ্র নারায়ণ রায়কে। একই ঘটনায় গুরুতরভাবে আক্রান্ত হয়েছেন তাঁর ছেলে, আইনজীবী সৌরীন্দ্র নারায়ণ রায়ও। পুলিশের ‘অতিরিক্ত সক্রিয়তা’র বিরুদ্ধে এ বার সরাসরি কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছেন রায় পরিবার। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে বৃহস্পতিবারই শুনানি হওয়ার কথা।
ঠিক কী ঘটেছিল?
পরিবারের অভিযোগ, ২০ অগাস্ট রাত সাড়ে দশটা নাগাদ সল্টলেকের এ কে ব্লকে দাঁড়িয়ে ছিলেন মনুজেন্দ্রবাবু। বাড়ির গাড়ি আনতে গেলে হঠাৎই সাদা পোশাকের দুই ব্যক্তি সৌরীন্দ্রকে আটকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। নিজেদের পরিচয় না দিয়েই তাঁরা হেনস্থা ও শারীরিক আক্রমণ চালান বলে অভিযোগ। সৌরীন্দ্রর দাবি, তাঁকে ঘুষি মারা হয়, গলা চেপে ধরা হয়, এমনকি মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকিও দেওয়া হয়। অভিযোগ, কিছুক্ষণ পরেই বিধাননগর থানার এএসআই তুষার চন্দ্র কুমার ঘটনাস্থলে এসে তাঁকে মাটিতে ফেলে টেনে নিয়ে যান।
লাথি মেরে ফেলে দেয় পুলিশ Kolkata police assault on lawyer
সন্তানকে বাঁচাতে ঘটনাস্থলে পৌঁছন মনুজেন্দ্র রায়। অভিযোগ, তখনই তাঁকেও লাথি মেরে ফেলে দেয় পুলিশ। তাতে গুরুতর আঘাত পান তিনি। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মনুজেন্দ্রবাবুর বাঁ দিকের পেলভিক হাড়ে চিড় ধরা পড়েছে। বর্তমানে তিনি সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি, এবং অস্ত্রোপচারের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
ঘটনার পর সৌরীন্দ্র নারায়ণ রায় সরাসরি রাজ্যের হোম সেক্রেটারি, কলকাতা পুলিশ কমিশনার ও বিধাননগর থানায় লিখিত অভিযোগ জমা দেন। আইনজীবী অনিন্দ্য লাহিড়ীর মাধ্যমে দাখিল হওয়া মামলার নথিতে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তীব্র প্রশ্ন তোলা হয়েছে। আদালতের অনুমোদন মিলে যাওয়ায় বৃহস্পতিবারই মামলার দ্রুত শুনানি হবে।
এই ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে ইতিমধ্যেই আইনজীবী মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। নাগরিক সুরক্ষার প্রশ্নে পুলিশের ‘অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ’ নিয়ে ফের নতুন করে বিতর্ক ছড়াল।
West Bengal: A senior lawyer, Manujendra Narayan Ray, and his son were allegedly assaulted by Bidhannagar Police in Salt Lake, Kolkata. The son of a former High Court Justice, Manujendra suffered a pelvic fracture. A case has been filed in Calcutta High Court.