কলকাতা পুরসভার ভিতর থেকে গ্রেফতার বাংলাদেশি, প্রশ্নের মুখে নিরাপত্তা

আজ, সোমবার কলকাতা পুরসভার ধর্মতলা দফতরের ভিতর থেকে এক বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করল পুলিশ। সকালে কলকাতা পুলিশের একটি বিশেষ দল অভিযান চালিয়ে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার…

bangladeshi aarested

আজ, সোমবার কলকাতা পুরসভার ধর্মতলা দফতরের ভিতর থেকে এক বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেফতার করল পুলিশ। সকালে কলকাতা পুলিশের একটি বিশেষ দল অভিযান চালিয়ে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। জানা গিয়েছে, তার নাম রফিকুল ইসলাম বিশ্বাস, যিনি বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত দীর্ঘদিন ধরে কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় ঘোরাঘুরি করছিলেন। তবে, সে নিজের পরিচয় গোপন রেখে পুরসভার দফতরে প্রবেশ করার চেষ্টা করছিল। কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (STF) তথ্যের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে এবং অবশেষে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

   

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রফিকুল ইসলাম বিশ্বাস পুরসভার প্রধান কার্যালয়ে তার ব্যক্তিগত নথি জমা দিয়ে বার্থ সার্টিফিকেটের কপি চাইছিলেন। কিন্তু, পুরসভার আধিকারিকরা যুবকের জমা দেওয়া নথি পরীক্ষা করার পর কিছু অস্বাভাবিকতা দেখতে পান। তার জমা দেওয়া নথিগুলোর মধ্যে কোনও একটা নথির সাথে অন্য নথির কোনো মিল ছিল না। তবে ধৃতের দাবি তার সমস্ত নথি আসল।

এই সন্দেহের ভিত্তিতে, পুরসভার আধিকারিকরা রফিকুলকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। শেষ পর্যন্ত রফিকুল ইসলাম বিশ্বাস স্বীকার করেন যে, সে বাংলাদেশি নাগরিক এবং অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন কয়েক বছর আগে। এরপর এই ঘটনার খবর জানানো হয় নিউ মার্কেট থানায়। পুলিশ আধিকারিকরা এসে রফিকুল ইসলাম বিশ্বাসকে গ্রেফতার করে। তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ এবং নথি জালিয়াতি করার অভিযোগ আনা হয়েছে। ধর্মতলা দফতরের ভিতর কেন সে অবস্থান করছিল এবং কী উদ্দেশ্যে এখানে প্রবেশ করেছিল, তা এখনও পরিষ্কার হয়নি।

পুলিশ সূত্রের খবর, রফিকুল তার জাল নথি দিয়ে একটি পাসপোর্টও তৈরি করেছিল এবং বিদেশে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁর। এই নথিগুলির মধ্যে কিছু ভুয়ো পরিচয়পত্র, জন্ম সনদ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ছিল।

গত কয়েক বছরে বাংলাদেশের অশান্ত পরিস্থিতি ফলে কলকাতায় বাংলাদেশিদের গ্রেফতারি বেড়েছে, কিন্তু পুরসভার মতো সরকারি প্রতিষ্ঠানে এমন ঘটনা পুলিশের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করা হবে বলে জানানো হয়েছে।