ভোগান্তির অবসান ঘটাতে শিগগির কলকাতার পাতালপথে পাওয়ার ব্যাকআপ

বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সময় মেট্রো যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে, কলকাতা মেট্রো (Kolkata Metro) রেলওয়ে শীঘ্রই টালিগঞ্জ-দমদম পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ মেট্রো রুটে একটি ব্যাটারি এনার্জি স্টোরেজ…

kolkata-metro-to-install-power-backup-in-underground-section-to-end-disruptions

বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সময় মেট্রো যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে, কলকাতা মেট্রো (Kolkata Metro) রেলওয়ে শীঘ্রই টালিগঞ্জ-দমদম পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ মেট্রো রুটে একটি ব্যাটারি এনার্জি স্টোরেজ সিস্টেম (BESS) স্থাপন করতে চলেছে। সোমবার মেট্রো (Kolkata Metro) কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই নতুন ব্যবস্থা হঠাৎ বিদ্যুৎ বিভ্রাট বা গ্রিড ব্যর্থতার সময় যাত্রীদের নিরাপদে পরবর্তী স্টেশনে পৌঁছে দিতে সাহায্য করবে।

মেট্রো সূত্রে জানা গিয়েছে, সেন্ট্রাল সাবস্টেশনে বসানো হবে এই বিশেষ ব্যাটারি এনার্জি স্টোরেজ সিস্টেম। এর ফলে যদি কোনও মেট্রো কোচ টানেলে আটকে যায়, তাহলে এই ব্যাকআপ সিস্টেম ৩০ কিমি/ঘণ্টা গতিতে ট্রেনটিকে নিরাপদে পরবর্তী স্টেশনে পৌঁছে দিতে পারবে। এই সিস্টেমে ইনভার্টার ও উন্নত রসায়ন সেল (ACC) ব্যাটারি ব্যবহার করা হবে, যা মেট্রো চলাচলের ক্ষেত্রে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করবে।

   

প্রসঙ্গত, দক্ষিণেশ্বর থেকে নতুন গড়িয়া পর্যন্ত ২৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ব্লু লাইন করিডোরের অন্তর্গত এই ভূগর্ভস্থ অংশটি শহরের অন্যতম ব্যস্ত মেট্রো রুট। প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী এই রুটে যাতায়াত করেন। ফলে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে মেট্রো চলাচল বন্ধ হলে যাত্রীদের যেমন দুর্ভোগে পড়তে হয়, তেমনই মেট্রোর পরিষেবাও ব্যাহত হয়।

মেট্রো কর্তৃপক্ষের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “নিরাপত্তা ও পরিষেবার মান উন্নত করার জন্য এই BESS সিস্টেম একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। যাত্রী নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছি।”

মেট্রো কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তকে যাত্রীরা ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছেন। অনেকের মতে, এই ব্যবস্থা ভূগর্ভস্থ মেট্রো পরিষেবাকে আরও নিরাপদ ও যাত্রীবান্ধব করবে। বিশেষ করে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের মতো জরুরি পরিস্থিতিতে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই প্রযুক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

কলকাতা মেট্রো রেলওয়ে ইতিমধ্যেই আধুনিক প্রযুক্তি ও যাত্রীসুবিধা বৃদ্ধিতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। BESS সিস্টেম স্থাপন এই ধারাবাহিকতায় আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এই প্রকল্পের সফল বাস্তবায়ন ভবিষ্যতে অন্যান্য মেট্রো করিডোরেও এই প্রযুক্তি ব্যবহারের পথ প্রশস্ত করতে পারে।