কলকাতা: কলকাতার রাস্তায় টোটো এবং ই-রিকশার দৌরাত্ম্য নিত্যযাত্রীদের জন্য একটি বড় উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ছোট দূরত্বে দ্রুত যাতায়াতের সুবিধা থাকা সত্ত্বেও, এই যানগুলো প্রায়ই বেপরোয়া চলাচলের কারণে যানজট ও নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করছে।
রাজ্য পরিবহণ দফতর এ নিয়ে নিয়ন্ত্রণমূলক একটি নীতিমালা প্রণয়নের পরিকল্পনা করেছে। পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী জানান, “যেসব রাস্তায় বড় যানবাহন চলা না, সেই সকল এলাকার মানুষদের বাড়ি থেকে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার জন্য এই টোটো-রিক্সার ভূমিকা অপরিসীম। তবে ই-রিকশার কোনো অফিসিয়াল পারমিট নেই, তাই এই গাড়িগুলির সঠিক সংখ্যা জানাও সম্ভব নয়। লক্ষ লক্ষ যুবক পেশাগত কাজে ও রুজিরুটির জন্য ই-রিকশা কিনেছেন এবং যেহেতু পারমিট বাধ্যতামূলক নয়, অনেকেই যত্রতত্র গাড়ি চালাচ্ছেন।”
নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে, পরিবহণ দফতর পুলিশ ও প্রশাসনের সঙ্গে বসে নির্ধারণ করবে কোন রাস্তায় কতগুলো যান চলবে এবং কোথায় যানজট সৃষ্টি হবে না। স্থানীয় পুরসভা, মিউনিসিপ্যালিটি এবং পঞ্চায়েত প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে এই রুট নির্ধারণ করা হবে। অর্থাৎ কোন রাস্তায় কতটা গেলে যানজট সৃষ্টি হবে না, সে দিকে নজর রাখা হবে৷ টোটো বা ই-রিক্সাওয়ালাদের রুজিরুটিতে থাবা না বসিয়েই টোটো এবং ই-রিকশা রুট বেঁধে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
চালকদের এই নির্দেশিকা অনুযায়ী চলার জন্য নির্দেশ জারি করা হবে, যাতে নগরীর সাধারণ যাত্রীদের চলাচলে স্বাচ্ছন্দ্য বজায় থাকে।
অটোর দাদাগিরি শহরের বিভিন্ন রুটে সাধারণ সমস্যা। পরিবহণমন্ত্রী বলেন, “যদি কেউ অন্য যানবাহন বা যাত্রীদের সাথে অসদাচরণ করে, তবে তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করা উচিত।”
নতুন নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা কার্যকর হলে শহরের রাস্তায় যানজট কমানো সম্ভব হবে, একই সঙ্গে টোটো ও ই-রিকশার দৌরাত্ম্যও নিয়ন্ত্রণে আসবে। জনসাধারণের জন্য নিরাপদ, স্বাচ্ছন্দ্যময় এবং সুশৃঙ্খল পরিবহন নিশ্চিত করা হবে।