খড়দহে রঙের কারখানায় ভয়াবহ আগুন, ঘটনাস্থলে দমকলের ২০টি ইঞ্জিন

khardahas-dye-factory-consumed-by-fire-20-fire-engines-respond-quickly

মঙ্গলবার ভোররাতে উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহের (khardaha) ঈশ্বরীপুর এলাকায় একটি রঙের কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। মুহূর্তের মধ্যে আগুনটি ছড়িয়ে পড়ে এবং গোটা এলাকা ঘন কালো ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা প্রথমে আগুনের মুখোমুখি হন এবং তারা সঙ্গে সঙ্গে দমকল বাহিনীকে খবর দেন। এতে দমকল বাহিনীর ৫টি ইঞ্জিন প্রথমে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং আগুন নেভানোর চেষ্টা শুরু করে। তবে, শুরুর দিকে আগুনের তীব্রতা এত বেশি ছিল যে, তা নিয়ন্ত্রণে আনতে আরও দমকল বাহিনীকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়।

Advertisements

বর্তমানে, দমকল বাহিনীর মোট ২০টি ইঞ্জিন আগুন নেভানোর জন্য চেষ্টা করছে, কিন্তু এখনও পর্যন্ত আগুন সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণে আসেনি। কারখানার ভিতরের পরিস্থিতি কী, তা এখনও পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। তবে, স্থানীয়রা জানিয়েছেন যে, কারখানাটি ওই সময় বন্ধ ছিল, ফলে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। যদিও, তীব্র আগুন ও ধোঁয়ার কারণে আশেপাশের এলাকার মানুষদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে এবং তাদের নিরাপত্তার জন্য সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।প্রাথমিক তদন্ত অনুযায়ী, ভোররাতে রঙের কারখানা থেকে প্রথমে ধোঁয়া বের হতে শুরু করে। ধোঁয়া খুব দ্রুত আগুনের আকার নেয়, যা পুরো কারখানাকে গ্রাস করে ফেলে। আগুনের সূত্র সম্পর্কে এখনও কিছু নিশ্চিত করা যায়নি, তবে স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন যে, কারখানায় কোনো ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা যথাযথ ছিল না, যা আগুনের বিস্তার ঘটাতে সাহায্য করতে পারে।

এছাড়া, কিছু স্থানীয় বাসিন্দার ধারণা, কারখানার ভিতরে যে রাসায়নিক উপাদান ছিল, তা আগুনের তীব্রতা এবং বিস্তারে বিশেষ ভূমিকা রেখেছে। রঙের কারখানাগুলিতে সাধারণত উচ্চমাত্রার দাহ্য পদার্থ থাকে, যা একটি ছোট্ট আগুনকেও বিশাল অগ্নিকাণ্ডে পরিণত করতে পারে।

Advertisements

আগুনের তীব্রতা এবং ধোঁয়ার কারণে দমকল বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পরও তাদের কাজ করা বেশ কঠিন হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে ধোঁয়ার কারণে উদ্ধার কাজ অনেকটা ব্যাহত হচ্ছে। দমকলের একাধিক ইঞ্জিন এবং আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে কাজ করছেন, কিন্তু আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য আরও সময় লাগতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।