হুগলির খানাকুল (Khanakul) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুনশি হামিদুর রহমানের বিরুদ্ধে হিন্দু মহিলাদের উপর নির্যাতন ও শ্লীলতাহানির গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় হিন্দু মহিলারা অভিযোগ করেছেন, তিনি তাঁদের পরিবারের পুরুষ সদস্যদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করছেন এবং গ্রামে এসে মহিলাদের শ্লীলতাহানি ও অপমান করছেন।
একটি ভিডিওতে এক মহিলা বলেছেন, “তিনি মুসলিম পুলিশ, তাই আমাদের উপর অত্যাচার করেন। তিনি মহিলাদের শাড়ি টেনে ছিঁড়েছেন।” এই ঘটনা সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর ব্যাপক বিতর্ক ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।অভিযোগ অনুযায়ী, হামিদুর রহমান, যিনি খানাকুল থানার ওসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, গ্রামে এসে হিন্দু পরিবারগুলোর উপর অত্যাচার করছেন।
মহিলারা জানিয়েছেন, তাঁদের পরিবারের পুরুষ সদস্যদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে, যার ফলে তাঁরা আইনি ও সামাজিক হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এছাড়া, হামিদুর রহমানের বিরুদ্ধে মহিলাদের শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে, যেমন তাঁদের শাড়ি টেনে ছিঁড়ে ফেলা এবং অপমানজনক আচরণ করা।
এই ঘটনাগুলো স্থানীয়দের মধ্যে ভয় ও আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। একটি ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গেছে, কয়েকজন মহিলা তাঁদের ক্ষোভ ও অভিযোগ প্রকাশ করছেন, যা সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
এই ঘটনা স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। সামাজিক মাধ্যমে অনেকে এই ঘটনাকে ধর্মীয় ভিত্তিতে নির্যাতন হিসেবে উল্লেখ করেছেন। একটি পোস্টে বলা হয়েছে, “হামিদুর রহমান মুসলিম পুলিশ অফিসার বলেই হিন্দু মহিলাদের উপর অত্যাচার করছেন।” এই ধরনের মন্তব্য ঘটনাটিকে ধর্মীয় রঙ দিয়ে আরও জটিল করে তুলেছে।
তবে, এই অভিযোগগুলো এখনও তদন্তাধীন এবং সরকারি তরফে কোনও নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি।এই ঘটনার সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে গত বছর উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় ঘটে যাওয়া একটি ঘটনার, যেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের এক নেতা প্রকাশ্যে এক দম্পতিকে প্রহার করেছিলেন। সেই ঘটনায় তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমান মহিলার চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিতর্ক সৃষ্টি করেছিলেন।
এই ঘটনাও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের (এনএইচআরসি) নজরে এসেছিল এবং তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। হুগলির এই ঘটনায়ও এনএইচআরসি বা রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে তদন্তের দাবি উঠছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, খানাকুল এলাকায় এই ধরনের ঘটনা নতুন নয়। হিন্দু মহিলারা অভিযোগ করেছেন, পুলিশের এই আচরণ তাঁদের দৈনন্দিন জীবনে ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। একজন মহিলা বলেন, “আমাদের পরিবারের পুরুষদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়, আর আমরা যখন প্রতিবাদ করি, তখন আমাদের অপমান করা হয়।”
এআই ব্যবহার করে ৮৫০ কোটির প্রতারণা, গ্রেফতার ২
এই অভিযোগগুলো গ্রামবাসীদের মধ্যে পুলিশের প্রতি অবিশ্বাস বাড়িয়েছে।রাজ্যের বিরোধী দল, বিশেষ করে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি), এই ঘটনাকে সরকারের বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। বিজেপি নেতারা দাবি করেছেন, পশ্চিমবঙ্গে মহিলাদের নিরাপত্তা বিপন্ন এবং সরকার এই ধরনের ঘটনায় যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে না।