দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং হাসপাতাল মোড় থেকে গ্রেফতার করা হলো কাশ্মীরের তেহরক-উল-মুজাহিদিনের সদস্য (Kashmiri terrorist) জাভেদ মুন্সিকে। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ এবং পশ্চিমবঙ্গ এসটিএফ যৌথ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জাভেদ মুন্সি কাশ্মীরের শ্রীনগরের তানপুরা এলাকার বাসিন্দা।
অভিযান এবং গ্রেফতার
কাশ্মীর পুলিশের একটি বিশেষ দল, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা পুলিশের সহায়তায়, ক্যানিং এলাকায় অভিযান চালিয়ে জাভেদ মুন্সিকে গ্রেফতার করে। অভিযানের আগে দীর্ঘদিন ধরে তাকে নজরদারিতে রাখা হয়েছিল। জানা গেছে, জাভেদ ক্যানিংয়ের এক আত্মীয়ের বাড়িতে গা ঢাকা দিয়েছিল।
গতকাল গভীর রাতে ক্যানিং হাসপাতাল মোড় এলাকায় যৌথ অভিযানে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতারের সময় কোনো বড় সংঘর্ষ হয়নি। তাকে আজ আদালতে পেশ করা হবে এবং ট্রানজিট রিমান্ডের আবেদন জানানো হবে। এরপর জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ তাকে কাশ্মীরে নিয়ে যাবে।
তেহরক-উল-মুজাহিদিনের সঙ্গে যোগসূত্র
জাভেদ মুন্সি তেহরক-উল-মুজাহিদিন নামে কাশ্মীরভিত্তিক জঙ্গি সংগঠনের সক্রিয় সদস্য। এই সংগঠনটি দীর্ঘদিন ধরে কাশ্মীরে অশান্তি ও সন্ত্রাস ছড়ানোর কাজে লিপ্ত। সংগঠনের বিভিন্ন কার্যকলাপের সঙ্গে জাভেদের সম্পৃক্ততার প্রমাণ মিলেছে।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গেছে, জাভেদ কাশ্মীরে সংগঠনের হয়ে বিভিন্ন ধরণের সন্ত্রাসমূলক কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিল। কী কারণে সে ক্যানিংয়ে গা ঢাকা দিয়েছিল এবং এখানে তার কী পরিকল্পনা ছিল, তা জানতে পুলিশ ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে।
পুলিশের বক্তব্য
পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, “জাভেদের গতিবিধি দীর্ঘদিন নজরে রাখা হচ্ছিল। তার অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার পর, যৌথ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এই গ্রেফতার বড় সাফল্য। আমরা জাভেদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়ার আশা করছি।”
কাশ্মীর পুলিশের সঙ্গে যৌথ অভিযান
জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ এবং পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের যৌথ অভিযান এই ধরনের আন্তঃরাজ্য অপরাধ মোকাবিলার ক্ষেত্রে একটি বড় উদাহরণ। এধরনের যৌথ কার্যক্রম দুই রাজ্যের পুলিশ বাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা আরও শক্তিশালী করবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
জনসাধারণের প্রতিক্রিয়া
স্থানীয় বাসিন্দারা প্রথমে ঘটনাটি জানতে পেরে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তবে পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ায় এলাকায় স্বস্তি ফিরে এসেছে। অনেকেই পুলিশ এবং এসটিএফ-এর তৎপরতার প্রশংসা করেছেন।
পরবর্তী পদক্ষেপ
জাভেদ মুন্সিকে কাশ্মীরে নিয়ে গিয়ে সেখানকার পুলিশের হেফাজতে রাখা হবে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে তেহরক-উল-মুজাহিদিনের আরও সদস্যদের সম্পর্কে তথ্য পাওয়ার চেষ্টা করা হবে। এই গ্রেফতারের ফলে শুধুমাত্র ক্যানিং নয়, পুরো রাজ্যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।