শনিবার প্রকাশিত হয়েছে SSC কাণ্ডে দাগী শিক্ষকদের তালিকা (Police Clash)। মোট ১৮০৬ জনের নাম আছে এই তালিকায়। এই মুহূর্তে তারাও SSC এর এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু এর মধ্যেই যোগ্য চাকরিহারাদের একাংশ আজ করুণাময়ী থেকে SSC এর উদ্দেশ্যে অভিযান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
চাকরিহারাদের একাংশের নেতৃত্বে থাকা সুমন বিশ্বাসকে হাইকোর্ট অনুমতি দিয়েছে আচার্য ভবনে যাওয়ার। সুমন এবং আরও পাঁচ জনকে এই অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মিছিলের আগেই সুমন বিশ্বাসকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। যোগ্য চাকরিহারাদের দাবি কেন তাদের আবার পরীক্ষায় বসতে হবে।
সুমন বিশ্বাস অভিযোগ করেছেন পুলিশ তার কলার ধরে তাকে টানাটানি করেছে। এমনকি তার পাঞ্জাবিও ছিড়ে দেওয়া হয়েছে। তার অভিযোগ গত ১৮ই আগস্ট তাকে বিনা দোষে আটক করা হয়েছিল। সুমন বলেছেন SSC যদি আরও আগে যোগ্য এবং অযোগ্যদের তালিকা দিয়ে দিত তাহলে এতো জল ঘোলা হত না।
এখন চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষকদের আবার পরীক্ষায় বসতে হবে।চাকরিহারা শিক্ষকদের একাংশের দাবি, তাঁরা যোগ্য প্রার্থী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন, কিন্তু ২০১৬ সালের এসএসসি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ২৬,০০০ শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীর চাকরি বাতিল করা হয়। তাঁদের প্রশ্ন, যদি তারা যোগ্য হয়ে থাকেন, তাহলে কেন তাঁদের আবার পরীক্ষায় বসতে হবে?
আরেকদিকে বিধানসভায় চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষকরা রাজ্যসরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে যে এই সরকারের আমলে চুরি হয়েছে। তাই দায় সরকারকেই নিতে হবে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বিধানসভার সামনে পৌঁছেলে যোগ্য চাকরিহারাদের একাংশ তার সামনে বিক্ষোভ দেখতে শুরু করে।
কীভাবে আপনার নিজের সবজি ফসল থেকে বীজ সংরক্ষণ করবেন
শুভেন্দু বলেন তিনি মুখ্য সচিবকে চিঠি পাঠাবেন এই মর্মে যে যোগ্যরা কেন আবার পরীক্ষায় বসবেন। তাদের নিজেদের কর্মক্ষেত্রে বহাল করা হোক। সুমন বিশ্বাস সর্বদলীয় বৈঠকের দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন নেতা নেত্রীরা কারুর ব্যাক্তিগত নয় কিন্তু যারা যোগ্য তাদের কি দোষ তারা তো ঘুষ দিয়ে চাকরি পাইনি। তবে তাদের চাকরি বাতিল হবে কেন।

আমাদের Google News এ ফলো করুন
২৪ ঘণ্টার বাংলা নিউজ, ব্রেকিং আপডেট আর এক্সক্লুসিভ স্টোরি সবার আগে পেতে ফলো করুন।
