কর্মশ্রী প্রকল্পে বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর, পরিযায়ীদের জন্য থাকছে বিশেষ সুবিধা

২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্য সরকার যে ‘কর্মশ্রী’ প্রকল্পের (Karmashree Scheme) সূচনা করেছিল, এবার সেই প্রকল্পে বড়সড় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার বীরভূমে…

Mamata Banerjee hindi s[eech controversy

২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্য সরকার যে ‘কর্মশ্রী’ প্রকল্পের (Karmashree Scheme) সূচনা করেছিল, এবার সেই প্রকল্পে বড়সড় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার বীরভূমে সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী জানান, কর্মশ্রী প্রকল্পে আগের মতোই চলতি বছরও ৫৮ দিনের কাজ দেওয়া হবে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের বেকার যুবক-যুবতীদের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আটকে থাকা বাংলা থেকে যাওয়া পরিযায়ী শ্রমিকরাও কাজের সুযোগ পাবেন বলে আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “পরিযায়ী শ্রমিকদের বলুন বাংলায় ফিরে আসতে। এখানে কাজের অভাব নেই। আমরা আসার ভাড়া দেব। কর্মশ্রী প্রকল্পে কাজ দেব। ছেলে মেয়েদের স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেব।”

   

প্রসঙ্গত, কেন্দ্রের ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের একটি বিকল্প হিসাবে রাজ্য সরকার ২০২৩ সালে ‘কর্মশ্রী’ প্রকল্প চালু করেছিল। রাজ্য সরকারের দাবি, এই প্রকল্পে একটি ‘জব কার্ড’-এর ভিত্তিতে বছরে কমপক্ষে ৫০ দিনের কাজের নিশ্চয়তা দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে একদিকে যেমন রাজ্যের বেকার যুব সম্প্রদায় কাজ পাচ্ছে, তেমনি রাজ্যের কর্মদিবসও বৃদ্ধি পাচ্ছে।

যে কেউ কর্মশ্রী প্রকল্পে কাজ পেতে চাইলে, প্রথমেই তাঁর ‘জব কার্ড’ থাকতে হবে। এই জব কার্ডের জন্য আবেদনকারীকে অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। শুধু জব কার্ডধারীরাই এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে পারবেন।

বাংলার বাইরে কাজ করতে যাওয়া পরিযায়ী শ্রমিকরা নানা বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন, এমনই অভিযোগ উঠে এসেছে বহুবার। সেই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী এবার বলেন, “বাংলার ছেলে-মেয়েরা বাইরে গিয়ে অপমানিত হচ্ছে। কেউ ফিরতে চাইলে, আমরা সমস্তরকম সাহায্য করব।” রাজ্যে ফিরে এলে কর্মশ্রী প্রকল্পের অধীনে তাঁদের কাজ দেওয়া হবে, এমনটাই ঘোষণা করলেন তিনি।

এই প্রকল্পের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল, স্কিল বেসড ট্রেনিং-এর ব্যবস্থা। রাজ্যের যুব সম্প্রদায়কে প্রশিক্ষণ দিয়ে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেওয়া হবে। এছাড়া কর্মতীর্থ এলাকায় কর্মশ্রী প্রকল্পের আওতায় বিনামূল্যে দোকানও দেওয়া হবে।

প্রকল্পের লক্ষ্য ও প্রভাব
রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হল—

Advertisements

রাজ্যের শ্রমজীবী মানুষদের জন্য স্থায়ী ও নিরাপদ কর্মসংস্থান তৈরি করা

বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের বাস্তবায়ন দ্রুত সম্পন্ন করা

বেকারত্বের হার কমানো

পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজ্যে ফেরানো

মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের দাবি, “কর্মশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের বেকার যুব সম্প্রদায়কে বাস্তব কর্মসংস্থান দেওয়া হচ্ছে। এতে রাজ্যের উৎপাদনশীলতাও বাড়বে।” সব মিলিয়ে লোকসভা নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ঘোষণাকে রাজনৈতিক ভাবেও তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল।