প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তার ছক ভেঙে এবারের বঙ্গ সফরে জয় মা কালী বলে বক্তৃতা শুরু করেছেন (kalyan)। অবশ্য দূর্গা নাম ও তার মুখে সেদিন শুনেছে আপামর বাঙালি। এই ছক ভাঙা বক্তৃতা নিয়ে এর আগেও তৃণমূল নেতাদের মুখে শোনা গেছে কটাক্ষ।
মুখপাত্র কুনাল ঘোষ এবং দেবাংশু ভট্টাচার্য সরাসরি ভিডিও বার্তায় মোদীকে কটাক্ষ করেছেন। তারা বলেছেন মোদীকে জয় শ্রী রাম থেকে কালী দুর্গাতে আসতেই হল শেষ পর্যন্ত।কল্যান আরও বলেছেন রাম কে আপনি বিজেপি শ্রীরাম করে দিয়েছেন এবং প্রশ্ন করেছেন রাম কি শুধু বিজেপির।
ঠিক এক ই সুর এবার শোনা গেল সাংসদ কল্যাণ বন্দোপাধ্যায়ের কণ্ঠেও। তৃণমূল শহীদ দিবসের প্রাক্কালে তার গুলায় শোনা গেল কালী মন্ত্র। তার সাথে বাংলার জ্যোতিষিদের মত তিনি ভবিষ্যৎবাণী করেছেন আজ না হয় কাল প্রধানমন্ত্রীকে কালীঘাটে এসে মাথা ঠেকাতেই হবে।
কল্যাণ বলেছেন তিনি যখন শপথ গ্রহণ করেন তখন কালী মন্ত্র উচ্চারণ করে শুরু করেছিলেন। কিন্তু স্পিকার বলেছিলেন কালী মন্ত্র চলবে না। কল্যান বিজেপিকে কটাক্ষ করে বলেছেন সেই সময় যদি যায় শ্রীরাম বলা যেত তাহলে হয়তো ভালো হত।
কল্যাণের মতে আজ সময় বদলেছে। মোদীর মুখে জয় শ্রীরাম নেই। আছে জয় মা কালী, জয় মা দূর্গা। কল্যাণের বিশ্বাস একদিন এই কালীঘাটে এসে মোদী মাথা ঠেকাবেন। কালীঘাট মানে যেমন মা কালী তেমন ই মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন।
আইনজীবী এবং কুশলী বক্তা কল্যাণ যে কালীঘাট বলতে মমতার বাসস্থানকে বুঝিয়েছেন তা বলাই বাহুল্য। তাছাড়াও সমোলোচকদের মধ্যেও শুরু হয়েছে গুঞ্জন। মোদীর বাংলা বলার আপ্রাণ প্রয়াস যে শুধু মাত্র বাঙালি সেন্টিমেন্টকে ধরার জন্য তও শোনা গিয়েছে সমালোচক মহলে।
রাজনৈতিক মহল এবং সমাজমাধ্যম সরব হয়েছে পুরুলিয়ার বিধায়কের বাংলা কবিতা পাঠে। কবিতার শুরুতেই দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের নাম নিতে গিয়ে হোঁচট খাওয়া। সকল দেশের সেরা বলতে গিয়ে সরা বলে ফেলা নিয়ে মুখর সমালোচক কুল।
“ঝড় হলেও থামবে না পদযাত্রা”, একুশের আগে চ্যালেঞ্জ জানালেন মমতা
তবে সুবক্তা কল্যাণ আদালতে হোক কিংবা রাজনৈতিক মঞ্চে বরাবর ই স্পষ্ট বক্তা। তিনি বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কে যে মা কালি হচ্ছেন আদি শক্তি পরিত্রান পেতে গেলে এই খানেই তাকে ফিরে আসতে হবে বার বার। তবে মোদী কোথায় কিভাবে আসবেন। ২০২৬ এর আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে গেরুয়া ঝড় উঠবে কিনা তা একমাত্র সময় ই বলতে পারে।