কালীগঞ্জ উপনির্বাচনে প্রথম রাউন্ডে এগিয়ে তৃণমূল, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে কে?

কালীগঞ্জ: সোমবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হল কালীগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ভোটগণনা। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকা অনুযায়ী, গণনা শুরু হয়েছে পোস্টাল ব্যালট দিয়ে। এরপর পর্যায়ক্রমে খোলা…

Kaliganj Vote Counting

কালীগঞ্জ: সোমবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হল কালীগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ভোটগণনা। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকা অনুযায়ী, গণনা শুরু হয়েছে পোস্টাল ব্যালট দিয়ে। এরপর পর্যায়ক্রমে খোলা হবে ইভিএম। গণনাকেন্দ্রে রয়েছে আঁটসাঁট নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

প্রথম রাউন্ডের গণনা শেষে এগিয়ে রয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী আলিফা আহমেদ। এখনও পর্যন্ত তাঁর প্রাপ্তি ৪৫৪৫টি ভোট। ১৮৩০টি ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী কাবিলউদ্দিন শেখ৷ আর তৃতীয় স্থানে রয়েছেন বিজেপি প্রার্থী আশিস ঘোষ৷ তিনি পেয়েছেন ১১১২টি ভোট। নোটার ঝুলিতে পড়েছে ১০৫টি ভোট।

   

১৬টি টেবিলে চলছে গণনা প্রক্রিয়া

কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, কালীগঞ্জের গণনাকেন্দ্রে দু’টি ঘরে ১৬টি টেবিলে সমগ্র গণনা প্রক্রিয়া চলছে। রাউন্ডের সংখ্যা কিছুটা বেশি হলেও, দুপুরের মধ্যেই চূড়ান্ত ফলাফলের ছবিটা স্পষ্ট হয়ে যাবে বলেই আশা করছেন কমিশনের আধিকারিকেরা।

গণনাকেন্দ্রে মোবাইল ফোন বা ক্যামেরা নিয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। শুধুমাত্র সাদা কাগজ ও কলম নিয়ে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে প্রতিনিধিদের। সাংবাদিকদের জন্য তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের তত্ত্বাবধানে নির্দিষ্ট পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র থেকে ছবি তোলার অনুমতি মিলবে।

Advertisements

বৃহস্পতিবার ছিল উপনির্বাচন Kaliganj Vote Counting

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার নদিয়ার কালীগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হয়। বৃষ্টিকে উপেক্ষা করেই সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে। নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মোট ভোট পড়েছে ৭২.৫০ শতাংশ। সামান্য কিছু অশান্তি ছাড়া গোটা নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবেই সম্পন্ন হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। প্রার্থীরাও ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া নিয়ে সন্তুষ্ট। প্রত্যেকেই জয়ের বিষয়ে আশাবাদী।

কালীগঞ্জ ছাড়াও ওইদিনই উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় গুজরাতের ভিসাভাদর এবং কড়ী, পঞ্জাবের লুধিয়ানা পশ্চিম, ও কেরলের নিলাম্বুর বিধানসভা কেন্দ্রে। সোমবারই পাঁচটি কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা হবে।

উপনির্বাচনের ফল কোন দিকে মোড় নেয়, সেদিকে এখন নজর গোটা রাজ্যের রাজনৈতিক মহলের।