কলকাতা: সংসদের বাদল অধিবেশনের গাঢ় রাজনৈতিক আবহেই তৃণমূল কংগ্রেসে গুরুত্বপূর্ণ সাংসদ পদে রদবদল। লোকসভায় দলের চিফ হুইপ (মুখ্য সচেতক) পদ থেকে আচমকা পদত্যাগ করেছিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই পদে এবার আনুষ্ঠানিকভাবে জায়গা নিলেন বর্ষীয়ান নেত্রী তথা বারাসতের সাংসদ ডঃ কাকলি ঘোষ দস্তিদার (Kakoli Ghosh Dastidar Chief Whip)। পাশাপাশি লোকসভায় তৃণমূলের নতুন ডেপুটি লিডার হিসেবে দায়িত্ব পাচ্ছেন বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়। মঙ্গলবার দুপুরে অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে এক বিবৃতিতে এই সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
দলের এক্স (প্রাক্তন টুইটার) হ্যান্ডলে জানানো হয়, “কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় গতকাল লোকসভায় তৃণমূলের সংসদীয় দলের চিফ হুইপের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। তিনি লোকসভা চেয়ারপার্সনের কাছে তাঁর পদত্যাগপত্র জমা দেন। চেয়ারপার্সন তা গ্রহণ করেছেন এবং এই দায়িত্বে কল্যাণবাবুর অবদানের জন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে। এরপর দলের বর্ষীয়ান সাংসদদের সঙ্গে পরামর্শ করে চেয়ারপার্সন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নতুন দায়িত্বে কাকলি ঘোষ দস্তিদার এবং শতাব্দী রায়কে মনোনীত করেছেন।”
উল্লেখযোগ্যভাবে, সোমবার তৃণমূলের সংসদীয় কমিটির বৈঠকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে লোকসভায় দলনেতা হিসাবে ঘোষণা করা হয়। সেই ঘোষণার ঠিক পরেই নিজের পদ থেকে ইস্তফা দেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। পরবর্তীতে সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি মহুয়া মৈত্রর সমালোচনাও করেন, যা দলীয় অন্দরে বিতর্ক উস্কে দেয়।
কাকলি ঘোষ দস্তিদার এর আগে লোকসভায় তৃণমূলের ডেপুটি লিডারের দায়িত্ব সামলেছেন। এবার তিনি মুখ্য সচেতকের পদে উন্নীত হলেন। অন্যদিকে, সাংসদ কাকলির ছেড়ে যাওয়া ডেপুটি লিডারের আসনে এলেন সাংসদ শতাব্দী রায়।
তৃণমূল সূত্রের খবর, এই রদবদল তাৎক্ষণিক হলেও তা ভবিষ্যতের সংসদীয় রণকৌশলের দিকে নজর রেখেই করা হয়েছে। লোকসভায় দলের অভ্যন্তরীণ ভারসাম্য, সাংসদদের মধ্যে সমন্বয় এবং সংগঠনের কণ্ঠস্বর আরও দৃঢ়ভাবে তুলে ধরার লক্ষ্যেই এই নতুন দায়িত্ব বন্টন।
তৃণমূল জানিয়েছে, এই নতুন মনোনয়ন অবিলম্বে কার্যকর হবে।