আলোচনা করতে রাজি, কিন্তু একাধিক শর্ত বেঁধে দিলেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা

রাত পেরিয়ে সকাল হলেও এখনও জট কাটেনি৷ অবস্থান বিক্ষোভে অনড় রয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা৷ বৃষ্টি উপেক্ষা করেই খোলা আকাশের নীচেই বসে রয়েছেন তাঁরা৷ চিকিৎসকদের দাবি, যতক্ষণ…

রাত পেরিয়ে সকাল হলেও এখনও জট কাটেনি৷ অবস্থান বিক্ষোভে অনড় রয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা৷ বৃষ্টি উপেক্ষা করেই খোলা আকাশের নীচেই বসে রয়েছেন তাঁরা৷ চিকিৎসকদের দাবি, যতক্ষণ না পর্যন্ত মানা হচ্ছে তাঁরা এইভাবেই অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাবেন৷

মঙ্গলবার রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের কাছে ইমেল পাঠিয়ে আলোচনায় বসার কথা জানিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে জানানো হয়,যে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে নবান্নে আলোচনায় বসতে চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও সেই ইমেলের ভাষা নিয়ে আপত্তি জানিয়ে ছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা৷

   

লালবাজার অভিযানেও টানা ২২ ঘন্টা ধরে অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে গিয়েছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা৷ এরপর ফের স্বাস্থ্য ভবন (swasthya Bhawan) অভিযান৷ সেখানেও চিত্রটা একেবারেই বদল হয়নি৷ টানা ১৮ঘন্টা বসে রয়েছেন সকল ডাক্তারেরা৷ আর এই খবর পেয়ে রাতেই জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে স্বাস্থ্য ভবনে পৌঁছে যান তিলোত্তমার বাবা-মা। আজ বুধবার সকাল হতেই অবস্থানরত জুনিয়র ডাক্তারদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করলেন আমজনতা৷ সাধারণ মানুষের মতো তাঁদের পাশে রয়েছেন সিনিয়র চিকিৎসকেরাও৷

তবে আন্দোলনকারীরা জানালেন তাঁরা স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত। সেই সঙ্গে একাধিক শর্ত বেঁধে দিলেন চিকিৎসকেরা৷ জুনিয়র চিকিৎসক কিঞ্জল নন্দ জানান, স্বাস্থ্যভবনের ভিতরে মাত্র ১০ জনের প্রতিনিধি দল নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে৷ কিন্তু তাঁদের দাবি, অন্তত ২৫ জন যাওয়ার অনুমতি দিতে হবে। তবে এখানেই শেষ নয়, আলোচনা বসা মানেই অবস্থান বিক্ষোভ তুলে নেওয়া হবে এমনটা নয়, যতক্ষণ না পর্যন্ত তাঁদের সমস্ত দাবি পূরণ হবে তাঁরা এইভাবেই স্বাস্থ্য ভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাবেন৷