জঙ্গলমহলে লাল পলাশ! পুরুলিয়ায় তৃণমূল ছেড়ে সিপিএমে যোগদানের হিড়িক

একশ দিনের কাজের নিশ্চিত করতে কৃষকসভার (AIKS) সংগঠন বাড়িয়ে ফের গ্রামাঞ্চলে সিপিআইএমের সাংগঠনিক তৎপরতা। কড়া নজর রাখছে শাসকদল তৃণমূল। আর বাম কৃষক নেতৃত্বের দাবি, রাজ্যবাসী…

CPIM gains momentum in Junglemahal as TMC workers join in Purulia’s Manbazar. AIKS conference fuels rural push for 100-day work rights.

একশ দিনের কাজের নিশ্চিত করতে কৃষকসভার (AIKS) সংগঠন বাড়িয়ে ফের গ্রামাঞ্চলে সিপিআইএমের সাংগঠনিক তৎপরতা। কড়া নজর রাখছে শাসকদল তৃণমূল। আর বাম কৃষক নেতৃত্বের দাবি, রাজ্যবাসী এখন নিশ্চিত বুঝে গেছেন তৃণমূল ও বিজেপির সেটিং। বামই বিকল্প।

আসন্ন কৃষকসভার রাজ্য সম্মেলন উপলক্ষ্যে রাজ্য জুড়ে সংগঠনটির তৎপরতা বেড়েছে। কৃষকসভা সূত্রে খবর, নভেম্বর মাসে পূর্ব বর্ধমান জেলায় হবে রাজ্য সম্মেলন।

   

কৃষকসভার সম্মেলন সামনে রেখে জঙ্গলমহলে সাংগঠনিক তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সূত্রের খবর তিনটি জেলা জুড়ে ছড়ানো জঙ্গলমহলের কয়েকটি বিধানসভা আসনে সিপিআইএমের সঙ্গেই তৃণমূলেন মূল লড়াই।

Also Read | 

সিপিআইএম পুরুলিয়া জেলা কমিটি সূত্রে খবর, বান্দোয়ান বিধানসভার মানবাজারে তৃণমূল ছেড়ে বাম শিবিরে যোগদান চলেছে। মানবাজার ২ নং ব্লকের বারি-জাগদা গ্রাম পঞ্চায়েতের জরগড়িয়া গ্রামের বাসিন্দার তৃণমূল ও বিজেপি ছেড়ে সিপিআইএমে যোগ দিয়েছেন।

Advertisements

রাজ্যে বিগত বাম জমানায় পুরুলিয়ার বান্দোয়ান হয়ে গেছিল মাওবাদী মুক্তাঞ্চল। সেই রক্তাক্ত পর্বে সাংগঠনিক তৎপরতা হারিয়ে ফেলে সিপিআইএম। দলটির নেতাদের দাবি, তৃণমূল জমানায় প্রবল দুর্নীতির কারণে বামফ্রন্টকেই ফের বেছে নিচ্ছেন গ্রামবাসীরা। বান্দোয়ান মানবাজারে রেগার কাজের দাবিতে সিপিআইএমের মিছিল-ডেপুটেশনের চেহারা দেখে চমকিত তৃণমূল।

অভিযোগ, একশ দিনের কাজ নিয়ে আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও টালাবাহানা করে চলেছে তৃণমূল সরকার।কাজের দাবিতে বান্দোয়ানে কয়েক হাজার মানুষের জমায়েত করে সিপিআইএম। প্রবল চাপে ব্লক প্রশাসন ঝুঁকে যায়।

সিপিআইএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আভাস বায়চৌধুরি বলেন, মানুষের জীবন জীবিকা নিমে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার রাজনীতি করছে। এ ওকে পিঠ চাপড় চাপড়ি করে সরকার চালাচ্ছে। বাম সাংসদদের চাপে প্রথম ইউপিএ সরকার ১০০দিনের প্রকল্প চালু করতে বাধ্য হয়েছিল। কিন্তু এখন গরিব মানুষের মজুরির ঠিকা নিয়ে রাজনীতির খেলা খেলছে।