মিলল ছাড়পত্র, নবান্নে মুখ্যসচিবের সঙ্গে কথা বলবে ১৮ ‘যোগ্য’ চাকরিহারা

কলকাতা: সোমবার সকালে ফের উত্তেজনায় ফেটে পড়ল নবান্ন চত্বর। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাতের দাবিতে পথে নামলেন ‘যোগ্য’ চাকরিহারারা। বঙ্গবাসী মোড় থেকে শুরু হওয়া মিছিল এগোচ্ছিল…

jobless teachers Nabanna protest

কলকাতা: সোমবার সকালে ফের উত্তেজনায় ফেটে পড়ল নবান্ন চত্বর। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাতের দাবিতে পথে নামলেন ‘যোগ্য’ চাকরিহারারা। বঙ্গবাসী মোড় থেকে শুরু হওয়া মিছিল এগোচ্ছিল নবান্নের দিকে, কিন্তু মাঝপথেই মল্লিক ফটকে আটকে দেয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। ব্যারিকেড বসিয়ে মাইকিং শুরু হয় “আইন ভাঙবেন না, অনুগ্রহ করে শান্ত থাকুন।” কিন্তু তাতে আন্দোলনকারীরা থেমে যাননি। ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন তাঁরা। ফলে পুলিশি বাধা, আর তারপরেই ধাক্কাধাক্কি-বচসা।

Advertisements

১৮ জনের প্রতিনিধি দলকে ছাড়পত্র

শেষমেশ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে প্রশাসনের তরফে ১৮ জনের প্রতিনিধি দলকে মুখ্যসচিবের সঙ্গে আলোচনার ছাড়পত্র দেওয়া হয়। যদিও আন্দোলনকারীদের স্পষ্ট দাবি, তাঁরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সরাসরি দেখা করতে চান। তাঁদের যুক্তি, এই সংকটের একমাত্র রাজনৈতিক সমাধান সম্ভব মুখ্যমন্ত্রীর হাতেই।

   

নবান্ন অভিযানের আগে থেকেই আঁচ করা গিয়েছিল পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে পারে। সেই অনুযায়ী কড়া নিরাপত্তা মোতায়েন করেছিল প্রশাসন। সাঁতরাগাছি থেকে মন্দিরতলা- সর্বত্র ব্যারিকেড, মোড়ে মোড়ে বসানো হয় হাই রেজোলিউশন ক্যামেরা, জলকামান ছিল প্রস্তুত। পুলিশের কন্ট্রোলরুম থেকে গোটা এলাকা পর্যবেক্ষণ চলছিল। বাড়তি দু’হাজার পুলিশও নামানো হয় বিভিন্ন কমিশনারেট থেকে।

সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক রায় jobless teachers Nabanna protest

আন্দোলনের পেছনে রয়েছে সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক রায়, যার ফলে রাজ্যের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল হয়েছে। নতুন করে নিয়োগ পরীক্ষার নির্দেশ দেয় সর্বোচ্চ আদালত। সেই নির্দেশ মেনে মে মাসে এসএসসি নতুন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। কিন্তু অভিযোগ, সেখানে আবার ‘অযোগ্য’ চাকরিপ্রার্থীদের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। সেই কারণেই ‘যোগ্য’ চাকরিহারারা মামলা করেন হাই কোর্টে। সিঙ্গল বেঞ্চ তাঁদের পক্ষে রায় দেয়, জানিয়ে দেয়, অযোগ্যরা পরীক্ষায় বসতে পারবেন না। ডিভিশন বেঞ্চেও সেই রায় বহাল থাকে।

এই প্রেক্ষাপটে ফের মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চান চাকরিহারারা। তাঁদের বক্তব্য, আদালতের রায় থাকলেও রাজনৈতিক সদিচ্ছাই পারে ন্যায়ের পথ খুলে দিতে। আর তাই নবান্ন অভিযানে তাঁদের স্লোগান ছিল একটাই-
“বিচার চাই, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা চাই।”