কলকাতা: ব্যাপক বেনিয়মের অভিযোগে ২০১৬ সালের গোটা নিয়োগপ্রক্রিয়াই বাতিল করে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট৷ আদালতের সেই রায়ে অযোগ্যদের সঙ্গে অনিশ্চত হয়ে পড়ে যোগ্যদের ভবিষ্যৎও৷ মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে৷ বৃহস্পতিবার সকালে এই মামলাটি ওঠে প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চে৷ সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে শুরু হয় প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি বাতিলের মামলার শুনানি৷ আদালত যোগ্য ও অযোগ্যদের আলাদা করে শাস্তির বিধান করে কিনা, সেই অপেক্ষাতই প্রার্থীরা৷ (job cancellation in ssc case)
৫ হাজার বেনিয়ম job cancellation in ssc case
এদিন শুনানির শুরুতেই স্কুলে নিয়োগের ক্ষেত্রে বেনিয়মের অভিযোগ স্বীকার করে নেয় রাজ্য। তবে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল যোগ্য ও অযোগ্য পৃথকীকরণ করা সম্ভব কিনা? শুনানিতে এই বিষয়টির উপর জোর দেন প্রধান বিচারপতি৷ রাজ্যের আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদী জানান, প্রায় ৫ হাজার বেনিয়ম হয়েছে এবং রাজ্য ক্যাবিনেট সেগুলিতে প্রোকেক্ট করার চেষ্টাও করেছে।
যোগ্য অযোগ্য পৃথকীকরণ প্রশ্ন job cancellation in ssc case
এর পরেই বিচারপতি জানতে চান, যোগ্য অযোগ্যদের কি আলাদা করা সম্ভব? জবাবে রাজ্যের আইনজীবী জানান, রাজ্য সরকার সেটাই করতে চেয়েছে৷ এই মামলায় সিবিআই একাধিক তথ্য জমা করেছে। এসএসসি-র আইনজীবী জয়দীপ ঘোষও জানান, পৃথকীকরণ সম্ভব। তাহলে কেন যোগ্য-অযোগ্যদের মিলিয়ে দেওয়া হল? তাহলে হাই কোর্টই বা কেন বলল যোগ্য-অযোগ্য পৃথক করা সম্ভব নয়? এসএসসি-র কাছে জানতে চান প্রধান বিচারপতি৷
ওএমআর শিট job cancellation in ssc case
নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে সিবিআই আধিকারিকেরা বেশ কিছু ওএমআর শিট উদ্ধার করেছিলেন। সেই সব উত্তরপত্রের বিশ্বাসযোগ্যতা রয়েছে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন চাকরিচ্যুতদের আইনজীবী। তিনি আদালতকে জানান, ওএমআর শিটের বৈদ্যুতিন তথ্যের ৬৫বি এভিডেন্স আইন অনুযায়ী যাচাই করার কোনও শংসাপত্রও নেই। বৃহস্পতিবার এ প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি বলেন, “৬৫বি নিয়ে ভুল ধারণা রয়েছে। আসল ওএমআর শিট নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। ৬৫বি করলে বোঝা সম্ভব হার্ড ডিস্ক থেকে কী কী ডাউনলোড করা হয়েছে। কীই বা আপলোড করা হয়েছিল। এর সঙ্গে প্রমাণের কী সম্পর্ক?”
West Bengal: Supreme Court hears 26,000 teacher job cancellation case amid allegations of irregularities. Chief Justice questions eligibility separation. State confirms 5,000 irregularities. Awaiting verdict.