কলকাতা: পুজোর বোনাস-কে কেন্দ্র করে চা শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের তুমুল সংঘর্ষে ফের শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) নিশানায় রাজ্য সরকার। জলপাইগুড়ির নাগরাকাটা বিধানসভায় মেটেলী ব্লকের কিলকোট চা বাগানের শ্রমিকদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে নির্মমভাবে লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ বলে অভিযোগ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর। ঘটনার নিন্দা করে রাজ্য পুলিশ সহ শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন তিনি।
https://x.com/SuvenduWB/status/1972208768856347042
রবিবার এক্সের (X) পোস্টে শুভেন্দু বলেন, “চা শ্রমিকরা পুজোর বোনাসের দাবিতে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করছিলেন। হঠাৎই পুলিশ আধিকারিক মুস্তাক এর নেতৃত্বে মমতা পুলিশের বাহিনী নিরস্ত্র চা শ্রমিকদের উপর নির্মম ভাবে লাঠিচার্জ করা শুরু করে। পুলিশ আধিকারিক মুস্তাক চা শ্রমিকদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। বেশ কয়েকজন চা শ্রমিক পুলিশের লাঠির আঘাতে আহত হন।”
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘অপশাসনে’ এমনিতেই চা বাগানের শ্রমিকেরা বঞ্চিত। তার উপর পুজোর বোনাসের দাবিতে তাঁদের ন্যায্য আন্দোলনকেও জোরপূর্বক বন্ধ করার চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গে গিয়ে চা শ্রমিকদের জন্য ঢালাও প্রতিশ্রুতি দিলেও, চা শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য পাওনা টুকুও পান না।” এই সরকারকে উপড়ে না ফেললে অপশাসন থেকে মুক্তি পাবে না রাজ্যবাসী বলে এক্সের পোস্টে উল্লেখ করেন বিজেপি নেতা।
চা শ্রমিকদের দাবি
পুজোর বোনাসের দাবিতে শুক্রবার থেকেই বিক্ষোভ-অবরোধে বসেছেন ডুয়ার্সের মেটেলি থানা এলাকার নাগেশ্বরী চা বাগানের শ্রমিকেরা। একদিকে যখন পুজোর আনন্দে মেতেছে গোটা রাজ্য তখন একাধিক চা বাগান পরপর বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চা শ্রমিকদের পরিবারে নেমে এসেছে অন্ধকার।
সম্প্রতি আলিপুরদুয়ার জেলার সাংসদ মনোজ টিজ্ঞা বলেছিলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গ সফরে আসলে চা বাগান খোলে। কিন্তু পড়ে আবার সব বন্ধ হয়ে যায়”। পুজোর আগেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে ডুয়ার্সের তিনটি চা বাগান। উৎসবের মরশুমে শ্রমিকদের হাত খালি। তাই বকেয়া মেটান ও পুজোর বোনাসের দাবিতে আন্দোলনে বসেন চা বাগানের শ্রমিকেরা।