দত্তপুকুরে মুন্ডুহীন দেহ উদ্ধারের ঘটনায় অভিযুক্ত জলিলকে গ্রেপ্তার করেছে বারাসত পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের পর কলকাতা থেকে জম্মুতে পালিয়ে গেলেও শেষরক্ষা হয়নি তার। সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে জম্মুর সাম্বা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ট্রানজিট রিমান্ডে বারাসতে নিয়ে এসেছে পুলিশ। বুধবার জম্মু থেকে তাকে আদালতে পেশ করার পর বারাসতে নিয়ে এসে জেরা চালাচ্ছে তদন্তকারীরা।
গত ৩১ জানুয়ারি দত্তপুকুরের ছোট জাগুলিয়ার একটি পুকুর থেকে মুন্ডুহীন এক যুবকের দেহ উদ্ধার হয়। তদন্তে নিহতের নাম জানা যায়, লক্ষ্মীকান্তপুরের হজরত লস্কর। হজরতের প্রাক্তন স্ত্রী পূজা দাস ও তুতো ভাই ওবায়দুলকে আগেই গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে জলিলের স্ত্রী সুফিয়া খাতুনকেও আটক করা হয়। তাদের জেরায় উঠে আসে জলিলের নাম। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, জলিল কলকাতা স্টেশন থেকে দূরপাল্লার ট্রেনে চড়ে জম্মু চলে যায়। এরপর পুলিশের একটি দল জম্মু গিয়ে বুধবার তাকে গ্রেপ্তার করে।
তদন্তকারীদের ধারণা, হজরতের প্রাক্তন স্ত্রী পূজা দাস ও তুতো ভাই ওবায়দুলের সম্পর্কের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে। পূজা দাস ওবায়দুলকে বিয়ের পরও হজরতের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওবায়দুল হজরতের ওপর রাগ ঝাড়েন বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে। তবে হজরতের কাটা মুন্ডু এখনও উদ্ধার হয়নি। এই খুনের ঘটনায় আর কারা জড়িত, তা জানতে জলিল ও অন্যান্য গ্রেপ্তারদের জেরা চালাচ্ছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জলিলের স্ত্রী সুফিয়া খাতুনকে জেরা করার পরই তার সম্পর্কে তথ্য মেলে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, জলিল কলকাতা স্টেশন থেকে ট্রেনে চড়ে জম্মুর দিকে রওনা দেয়। এরপর তদন্তকারীরা জম্মুর সাম্বায় তার অবস্থান শনাক্ত করে। বুধবার তাকে গ্রেপ্তার করে স্থানীয় আদালতে পেশ করার পর ট্রানজিট রিমান্ডে বারাসতে নিয়ে আসা হয়।
এই হত্যাকাণ্ডের পেছনের রহস্য উন্মোচনে তৎপর বারাসত পুলিশ। জলিল ও অন্যান্য অপরাধীদের জেরা চালিয়ে হত্যাকাণ্ডের মূল চক্রী ও ঘটনার চাঞ্চল্যকর দিকগুলো খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। পুলিশের দাবি, শিগগিরই এই মামলার পূর্ণাঙ্গ রহস্য উন্মোচিত হবে।